
ছবি: সংগৃহীত
প্যারিসে ইউরোপের নিরাপত্তা নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক বৈঠকে জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ন্যাটো দেশসহ ৩৪ দেশের সেনাপ্রধানরা অংশ নেন। ইউরোপের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা জোরদারের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে ইউরোপের পাঁচ সামরিক শক্তি—ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, ইতালি ও পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরাও যোগ দেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তব উমের ভার্চুয়াল ভাষণে ইউক্রেনের নিরাপত্তা ইস্যুটি তুলে ধরেন। কিয়েভকে সহায়তায় “কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং” গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে প্রতিবেশী দেশগুলো। সম্মিলিত পদক্ষেপের মাধ্যমে ইউরোপের সামরিক প্রস্তুতি ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী লেকুর্নো বলেন, “ইউক্রেনের সামরিক সক্ষমতাই দেশটির নিরাপত্তার প্রথম গ্যারান্টি।” তিনি জানান, ইউক্রেনের জন্য নতুন নিরাপত্তা কাঠামো গঠনে ১৫টি ইউরোপীয় দেশ অংশ নিতে আগ্রহী। বৈঠকে স্বল্প ব্যয়ে সম্মিলিত সামরিক প্রশিক্ষণ ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এদিকে, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আঙ্কারা সফর করে তুরস্ককে ইউক্রেন শান্তি আলোচনার মধ্যস্থতা করার আহ্বান জানান। ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে ইইউ ইতোমধ্যে ৮০০ বিলিয়ন ইউরোর একটি প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ইউক্রেনকে সহায়তা কমানোর হুমকির পর ইউরোপীয় নেতারা সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছেন।
শিলা ইসলাম