
ছবি: সংগৃহীত
হঠাৎ সামরিক পোশাকে যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বুধবার (১২ মার্চ) প্রথমবারের মতো তিনি সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে কিয়েভের বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে সফর করেন। সেখানে তিনি রুশ সেনাদের সাম্প্রতিক সাফল্যকে প্রশংসা করেন এবং সৈন্যদের আরও অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান।
গত আগস্টে ইউক্রেনীয় বাহিনী আকস্মিক আক্রমণ চালিয়ে কুরস্কে প্রবেশ করে এবং সুদজা শহরসহ আশেপাশের এলাকা দখল করে। কয়েক মাস ধরে কিয়েভের বাহিনী রাশিয়ান পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করে এসেছে, কিন্তু সম্প্রতি তারা কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং রাশিয়ান বাহিনী সেখানে বেশ কিছু এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে।
যুদ্ধের মাঠ থেকে একটি কমান্ড সেন্টার থেকে পুতিন বলেন, "আপনার কাজ হলো শত্রুকে পুরোপুরি ধ্বংস করা, যারা কুরস্কে ঢুকে বসে আছে এবং এখনো এখানে যুদ্ধ করছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কুরস্ক অঞ্চলকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা আপনাদের দায়িত্ব।"
তিনি আরও বলেন, "যেমন পরিস্থিতি ছিল সীমান্তে, সেটি পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমি আশা করি, আপনারা সকল যুদ্ধ লক্ষ্য সফলভাবে অর্জন করবেন। কুরস্ক অঞ্চলের ভূখণ্ড শত্রুদের থেকে শীঘ্রই মুক্ত করা হবে।"
রুশ প্রেসিডেন্ট ভবিষ্যতে সীমান্তে নিরাপত্তা বলয় গঠনের পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন, যাতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অনুপ্রবেশ পুনরায় না ঘটে।
কিয়েভের পক্ষে যুদ্ধ করা বিদেশি সৈন্যদের উদ্দেশ্যে পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "রাশিয়ান ভূখণ্ডে আটক হওয়া বিদেশি সেনাদের সন্ত্রাসী হিসেবে গণ্য করা হবে। এরা জেনেভা কনভেনশনের আওতায় সুরক্ষিত নয়।"
শিহাব