
ছবিঃ সংগৃহীত
তেহরানের আকাশে ধীরে ধীরে রাতের অন্ধকার নেমে আসছে। শহরের বাতাসে এক ধরনের চাপা উত্তেজনা—যেন কোনো বড় ঘোষণা আসতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসতে বাধ্য করতে চান, তখনই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দৃঢ়কণ্ঠে জানিয়ে দিলেন, "ইরানকে কেউ বাধ্য করতে পারবে না।"
খামেনি বলেন, "ইরান হুমকির সামনে মাথা নত করবে না। ন্যায়বিচারের জন্য আপস নয়, প্রতিরোধই আমাদের পথ।" ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারিত তার বক্তব্যে প্রতিটি শব্দ ছিল অটল প্রতিরোধের প্রতীক, যা যেন ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির মুখে এক শক্তিশালী জবাব।
মাত্র একদিন আগেই ফক্স বিজনেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানের সামনে দুটি পথ খোলা—"আলোচনায় আসতে হবে অথবা সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" তখন বিশ্বের চোখ ছিল তেহরানের দিকে—খামেনি কী জবাব দেবেন? কিন্তু কোনো অনিশ্চয়তা ছাড়াই তিনি ট্রাম্পের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেন।
খামেনি স্পষ্ট বলেন, "আমাদের নীতি পরিষ্কার। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের চাপের কাছে নত হবো না। আলোচনার নামে তারা নতুন নতুন দাবি চাপিয়ে দিতে চায়, যা কখনোই ইরান মেনে নেবে না।"
ইরানের সাধারণ মানুষের কাছে আয়াতুল্লাহ খামেনি শুধু একজন নেতা নন, বরং জাতীয় মর্যাদার প্রতিচ্ছবি। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, অর্থনৈতিক চাপ এবং সামরিক হুমকির মুখেও তার এই শক্তিশালী অবস্থান ইরানিদের মনে এক নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
ইমরান