
কুরস্কে রুশ সেনাবাহিনীর একটি সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক
সাত মাস আগে ইউক্রেনের দখলে নেওয়া কুরস্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধারে আরও অগ্রসর হয়েছে রাশিয়া। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় বাহিনীর পেছনে অবস্থান নিয়ে একটি বড় ধরনের ঘেরাও অপারেশন শুরু করেছে রুশ বাহিনী। এই অপারেশনের লক্ষ্য কয়েক হাজার ইউক্রেনীয় সেনাকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বাহিনী কয়েক দিনের মধ্যে কুরস্কে চারটি এলাকা দখল করে নিয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রাপ্তি বলতে একমাত্র কুরস্ক অঞ্চল। খবর আরটির।
সীমান্ত লাগোয়া ওই রুশ ভূখণ্ডকে গত সাত মাস ধরে নিজেদের দখলে রেখেছিল কিয়েভ। কিন্তু এবার কুরস্ক পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে মস্কো। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত চার দিনে রুশ বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলে যতটা এলাকা দখল করেছে, তা এর আগে কখনো কখনো কয়েক মাসেও সম্ভব হয়নি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানায় রাশিয়ার বাহিনী ইউক্রেনীয় সীমান্তের ভেতরে ঢুকে প্রধান সড়কগুলো বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে। অথচ কয়েক মাস আগে কুরস্কে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় ছিল ইউক্রেনীয় সেনারা। সেখানকার রুশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পূর্ব ইউরোপের দেশটির আরও ভিতরের দিকে ঢুকে যায় তারা। গত আগস্টে ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের প্রায় ১,৩০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই রাশিয়া কুরস্ক অঞ্চলের অন্তত ৮০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পুনর্দখল করে নেয়। গত কয়েক দিনে রাশিয়া একাধিক দিক থেকে বড় ধরনের প্যারাট্রুপার আক্রমণ চালিয়েছে সেখানে। ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্পের সঙ্গে জেলেনস্কি বাগবিতণ্ডায় জড়ানোর পর কিয়েভকে যাবতীয় সামরিক সাহায্য পাঠানো বন্ধ করে ওয়াশিংটন। ফলে চরম অস্ত্রসঙ্কটে পড়ে তার সেনাবাহিনী। বিশ্লেষকদের মতে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুরস্কে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে চার দিক থেকে ঘিরে ধরেছে রুশ সেনারা। জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি কুরস্ক অপারেশন সম্পর্কে তার কমান্ডার-ইন-চিফ ওলেক্সান্ডার সিরস্কির কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন পেয়েছেন। তবে তিনি আরও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেননি। ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ দৈনিক প্রতিবেদনে জানায়, রাশিয়ার ২৭টি আক্রমণ প্রতিহত করেছেন তারা। বিশ্লেষকদের দাবি, এই অবস্থায় পিছু হটা ছাড়া জেলেনস্কির সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় কোনো রাস্তা নেই।