
ছবি: সংগৃহীত
সৌদি আরবের জেদ্দায় এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। দীর্ঘ আলোচনার পর বৈঠক থেকে উঠে আসে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত—৩০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে কিয়েভ। তবে আলোচনায় রাশিয়ার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না, ফলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো মস্কোর প্রতিক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে।
বৈঠকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিকা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী এন্ড্রি এরমাকসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অংশ নেন। আলোচনার পর ইউক্রেনের প্রধান আলোচক এন্ড্রি এরমাক জানান, যদি রাশিয়া এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয়, তবে কিয়েভ যুদ্ধবিরতিতে যেতে প্রস্তুত।
সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিও বলেন, "বল এখনো রাশিয়ার কোর্টে। আমরা প্রস্তাবটি পুতিন প্রশাসনের কাছে পাঠাব।" তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকির সমুদ্র ও আকাশপথে আংশিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের সঙ্গে এবার স্থল যুদ্ধ বন্ধের বিষয়টি যোগ করা হয়েছে।
এই আলোচনা প্রসঙ্গে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেন্সকি ভার্চুয়ালি জানান, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে আমরা ইতিবাচকভাবে দেখছি। ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ, ড্রোন হামলার লাগাম টানা ও কৃষ্ণসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
এদিকে, ওয়াশিংটন ডিসিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, "আমি শুনেছি কিয়েভ সম্মতি দিয়েছে। আশা করি রুশ প্রেসিডেন্টও রাজি হবেন। সত্যি বলতে, এই ভয়াবহ যুদ্ধ বন্ধ হতে আমরা সবাই চাই।"
বিশ্লেষকদের মতে, সৌদির মধ্যস্থতায় এই সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলে ভবিষ্যতে স্থায়ী শান্তি আলোচনা এগিয়ে নেওয়া সহজ হবে। ইতোমধ্যে ফ্রান্সসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। এখন সবার চোখ মস্কোর দিকে—পুতিন কি রাজি হবেন?
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/jADr7v8aTeQ?si=WgctllLiHVPwb-5_
এম.কে.