ছবি: সংগৃহীত।
নারীদের প্রতি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলা বৈষম্য এখন নতুন নতুন কারণে আরও প্রকট হয়ে উঠছে। বিশ্বজুড়ে নারীদের অধিকার ক্রমশ হুমকির মুখে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস। এই সংকট উত্তরণে তিনি বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন।
গুতেরেস সতর্ক করে বলেন, যেহেতু অগ্রগতি বিপরীতমুখী, তাই বিশ্ব এভাবে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। তিনি উল্লেখ করেন, ডিজিটাল উপকরণগুলো একদিকে যেমন সম্ভাবনাময়, অন্যদিকে এগুলো নারীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করে দিচ্ছে। সেই সঙ্গে পক্ষপাতদুষ্টতা আরও বাড়িয়ে তুলছে এবং হয়রানিকে উসকে দিচ্ছে।
নারীদের শরীর এখন রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন গুতেরেস। তিনি আরও বলেন, অনলাইনে সহিংসতা বাস্তব জীবনের সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। আমরা সমান অধিকারের ধারণাকে সাধারণীকরণের পরিবর্তে পুরুষতন্ত্র ও নারী বিদ্বেষের প্রসার ঘটতে দেখছি। এসব চলতে থাকলে নারীরা আরও পশ্চাৎপদ হতে থাকবে। নারী অবস্থার পরিবর্তনে এগুলোই সবচেয়ে বড় বাধা বলে জানান জাতিসংঘ প্রধান।
তিনি বলেন, "সমান অধিকারকে মূল ধারায় আনার পরিবর্তে আমরা উগ্রতা ও নারী বিদ্বেষকে মূল ধারায় আনতে দেখছি।"
গুতেরেস বিশ্বকে এই আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে বলেন, "লিঙ্গ সমতা শুধু ন্যায্যতার বিষয় নয়, বরং এটি ক্ষমতার বিষয়। এটি নির্ধারণ করে কারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে বসবে আর কারা বাইরে থাকবে। এটি সেই কাঠামোগুলো ভেঙে ফেলার ব্যাপার, যা বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখে। এবং এটি একটি উন্নত বিশ্ব গড়ার ব্যাপার, যা সবার জন্য কল্যাণকর হবে।"
গুতেরেসের বক্তব্য অনুসরণ করে জাতিসংঘের নারী সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সীমা বোস বলেন, "এ বছরের মতো সমতার আহ্বান আর কখনো এত জরুরি ছিল না। নারীদের পথের বাধাও এত স্পষ্ট ছিল না। তবে তাদের সংকল্প আগের চেয়ে আরও দৃঢ় ও অটল হয়েছে।"
নুসরাত
