
ছবি:সংগৃহীত
সম্প্রতি এলন মাস্ক (Elon Musk) জানিয়েছেন যে তার মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার) একটি বড় ধরনের সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে এই হামলার পিছনে একটি বড় সমন্বিত গোষ্ঠী বা এমনকি কোনো দেশ জড়িত থাকতে পারে।
মাস্ক এক্স-এ একটি পোস্টে লিখেছেন, “এক্স-এর বিরুদ্ধে একটি বিশাল সাইবার হামলা হয়েছে (এখনও চলছে)। আমরা প্রতিদিন হামলার শিকার হই। কিন্তু এটি অনেক সম্পদ ব্যবহার করে করা হয়েছে। হয়তো একটি বড় সমন্বিত গোষ্ঠী বা কোনো দেশ এর পিছনে রয়েছে। তদন্ত চলছে…”
ডাউনডিটেক্টরের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার দিনভর এক্স (X platform) -এ তিনবার সেবা বিঘ্ন ঘটে। প্রথমবার বিকেল ৩টায় সমস্যা দেখা দেয়, যেখানে প্রায় ২,২০০ জন ভারতীয় ব্যবহারকারী অভিযোগ জানান। এরপর রাত ৭:৩০-এ দ্বিতীয়বার ব্যাঘাত ঘটে, তখন ১,৫০০টি অভিযোগ রেকর্ড করা হয়। তৃতীয়বার রাত ৯টায়, যখন ব্যবহারকারীরা প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে অসুবিধার সম্মুখীন হন, তখন সমস্যা আরও বাড়ে। ডাউনডিটেক্টরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫২ শতাংশ সমস্যা ছিল ওয়েবসাইটের সঙ্গে সম্পর্কিত, ৪১ শতাংশ অ্যাপে এবং ৮ শতাংশ সার্ভার সংযোগের ক্ষেত্রে।
এলন মাস্ক ২০২২ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে এক্স কিনে নেন এবং ২০২৩ সালে এই প্ল্যাটফর্মে ২০০ মিলিয়ন ফলোয়ার অর্জনকারী প্রথম ব্যক্তি হন। তবে সাম্প্রতিক এই সাইবার হামলা এক্স-এর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। মাস্কের দাবি অনুযায়ী, এই হামলা সাধারণ হামলার চেয়ে আলাদা, কারণ এটি প্রচুর সম্পদ এবং পরিকল্পনার মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তার দল এই হামলার উৎস খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
এই হামলা শুধু ভারতেই নয়, বরং বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ডাউনডিটেক্টরের তথ্যে দেখা গেছে, আমেরিকায়ও হাজার হাজার ব্যবহারকারী একই সময়ে এক্স-এ প্রবেশ করতে পারেননি। যদি এই হামলার পিছনে কোনো দেশ জড়িত থাকে, তবে এটি সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি গুরুতর ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হবে। মাস্কের মতে, এক্স প্রতিদিনই ছোটখাটো সাইবার হামলার সম্মুখীন হয়, তবে এবারের ঘটনা তার ব্যাপকতা এবং সমন্বয়ের জন্য আলাদা।
এক্স-এর সেবা বিঘ্নের কারণে ব্যবহারকারীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। অনেকেই তাদের পোস্ট করতে বা অন্যদের পোস্ট দেখতে অক্ষম হয়েছেন। ভারতের ব্যবহারকারীদের জন্য বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এই সমস্যা বারবার দেখা দেওয়ায় প্ল্যাটফর্মটির নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মাস্কের দাবি যদি সত্যি হয়, তবে এটি একটি সমন্বিত ডিডিওএস (ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অফ সার্ভিস) হামলা হতে পারে, যেখানে সার্ভারকে অতিরিক্ত ট্রাফিক দিয়ে অচল করে দেওয়া হয়।
আঁখি