
ছবি: সংগৃহীত
চরম শত্রুতায় পরিণত ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এক সময় ছিল বন্ধুত্বের। কিন্তু স্বার্থকেন্দ্রিক বৈশ্বিক রাজনীতিতে সম্পর্কের উৎত্থান পতন দিবারাত্রির মতো ঘটনা। আজ দুই দেশের এই মল্লযুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ দুই শিবিরে বিভক্ত। উত্তেজনা বাড়ছে পারমানবিক শক্তিধর অন্য দেশগুলোর মধ্যে।
এবার ইরানের পারমানবিক কর্মসূচি নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ চাপনীতির মুখেও ইরানে নিজেদের অবস্থান শক্ত রেখেছেন।
সম্প্রতি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি তাদের চাপ ও নিষেধাজ্ঞার কৌশল অব্যহত রাখে। তাহলে কোন আলোচনা সম্ভব নয়। ইরান এখনো জেসিপিও চুক্তির অন্যান্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দুই দেশের মাঝে বৈরিতার ইতিহাস আজ নতুন নয়। ১৯৫০ দশক থেকেই এই দুই দেশের সম্পর্ক জটিল থেকে জটিল। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন একতরফা ভাবে পরমানচুক্তি থেকে বেরিয়ে আসে। তখন থেকেই ওয়াশিংটন তেহরান সম্পর্ক উত্তেজনার চরমে। ট্রাম্প প্রশাসনের একেরপর নিষেধাজ্ঞার পরও ইরান তাদের পারমানবিক কর্মসূচি চালিয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে আবারও আলোচানায় এসেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস বলেছেন আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত। তবে শর্ত একটাই চাপ ও হুমকি বন্ধ করতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, ইরান কেবল মাত্র ফ্রান্স, জার্মানী, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। অর্থ্যাৎ যুক্তরাষ্ট্রকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলার কৌশল নিয়েছে তেহরান।
অন্যদিকে ইরানকে অন্যায় আধিপত্য দেখিয়ে সমঝোতার টেবিলে বসানো যাবে না বলে দাবি করেছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি। ইরানের পারমানবিক কর্মসূচি নিয়ে চুক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের চিঠি পাঠানোর ঘোষনার পর একথা বলেন তিনি।
একদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্র্যাম্প দাবি করেছে ছিলেন তিনি ইরানের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন পরানু চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য।
খামেনী বলেন, কিছু শক্তিধর দেশ আলোচনা নিয়ে যেভাবে জোর দিচ্ছে। তা কোন সমস্যার সমাধান নয়। তাদের কাছে আলোচনা মানে নতুন নতুন দাবি তুলে ধরা। এটি শুধু ইরানের পরমানু ইস্যু নয়। বরং ইরান অবশ্যই তাদের শর্ত মেনে নেবেনা।
শহীদ