ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

গাণিতিক সূত্রে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের দাবি হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীর

প্রকাশিত: ০০:১৪, ১০ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০০:১৪, ১০ মার্চ ২০২৫

গাণিতিক সূত্রে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের দাবি হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীর

তবে কি সত্যিই রয়েছে  সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতি? সর্বশক্তিমান আল্লাহ কিংবা সৃষ্টিকর্তা যে নামেই হোক না কেন, আমরা সমস্যায় পড়লে তাঁকেই স্মরণ করে থাকি। প্রত্যেকে নিজের মত করে সৃষ্টিকর্তার পরিচয় তৈরি করে ফেলেছি।

তবে সৃষ্টিকর্তাকে চোখে দেখা যায় না। তা নিয়ে বাকবিতণ্ডা যাই থাকুক না কেন, এবারে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে অবাক দাবি করলেন বিজ্ঞানী উইলি সুন। বিখ্যাত জ্যোতি র্পদার্থবিজ্ঞানী ও মহাকাশ ইঞ্জিনিয়ার ডক্টর উইলি সুন দাবি করেছেন, একটি গাণিতিক সূত্র সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের "চূড়ান্ত প্রমাণ" হতে পারে।

সম্প্রতি টাকার কার্লসন নেটওয়ার্কে উপস্থিত হয়ে তিনি তার ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন, যেখানে তিনি মহাবিশ্বের ফাইন টিউনিং যুক্তিতর্ক নিয়ে আলোচনা করেন।

কী এই ফাইন টিউনিং যুক্তিতর্ক ?

এই তত্ত্ব অনুসারে, মহাবিশ্বের ভৌত আইন ও ধ্রুবকগুলোর মান এতটাই নিখুঁতভাবে সজ্জিত, যা জীবনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এই নিখুঁত সামঞ্জস্য নিছক দুর্ঘটনা হতে পারে না, বরং এর পেছনে একটি ঐশ্বরিক পরিকল্পনা থাকতে পারে। এই সূত্রটি প্রথম কেমব্রিজের গণিতবিদ পল ডিরাক উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, "মৌলিক ভৌত আইনগুলিকে এতটাই সুন্দর এবং শক্তিশালী গাণিতিক সূত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা যায়, যা বোঝার জন্য উচ্চ স্তরের গণিতের প্রয়োজন। আপনি ভাবতে পারেন, প্রকৃতি কেন এমনভাবে গঠিত? সম্ভবত এটি এমনই হওয়ার কথা"। 

ডিরাক আরও বলেন, "সৃষ্টিকর্তা একজন উচ্চমানের গণিতবিদ হতে পারেন, যিনি উন্নত গণিতের সাহায্যে মহাবিশ্ব গঠন করেছেন"।" টাকার কার্লসনের শো-তে ডক্টর উইলি সুন ডিরাকের তত্ত্বের ভিত্তিতেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, "আমাদের জীবনকে আলোকিত করার জন্য সর্বদা এক অদৃশ্য শক্তি কাজ করে।

সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই আলো দিয়েছেন, যা আমাদের অনুসরণ করা উচিত"। তার মতে, মহাবিশ্ব যে সুনির্দিষ্ট গাণিতিক নিয়ম অনুসরণ করে, তা সৃষ্টিকর্তার উপস্থিতির প্রমাণ হতে পারে। উইলি সুনের এই বক্তব্য নতুন করে বিজ্ঞান ও ধর্মের সম্পর্ক নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কেউ কেউ মনে করেন, বিজ্ঞান সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বকে ব্যাখ্যা করতে পারে না, আবার অনেকে মনে করছেন, বিজ্ঞান নিজেই সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমাণ দিতে পারে। এই বিতর্ক ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে, তবে বিজ্ঞান ও ধর্মের এই চিরন্তন দ্বন্দ্বের মাঝে বিজ্ঞানীর এই তত্ত্ব নতুন চিন্তার দুয়ার খুলে দিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: ওয়ান ইন্ডিয়া

ফুয়াদ

×