
রাশিয়া ইউক্রেনে আবারও ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে, যার ফলে কমপক্ষে ২৫ জন নিহত এবং অনেকেই আহত হয়েছেন। এই হামলায় বেশ কয়েকটি এলাকায় মৃত্যু ও তীব্র ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। আক্রান্তদের মধ্যে বেশ কিছু শিশু সহ আহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮ মার্চ রাতে রাশিয়ার সর্বশেষ হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে গুরুতর ক্ষতি হয়েছে। এই হামলার পর ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, গত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে নতুন করে প্রাণহানি ঘটেছে।স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার দোনেৎস্ক অঞ্চলের ডোব্রোপিলিয়া শহরে দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ফলে ১১ জন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ছয়টি শিশু রয়েছে। হামলার ফলে আবাসিক ভবন এবং একটি শপিং সেন্টার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরপর যখন উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান, তখন রাশিয়া তাদের লক্ষ্য করে আরও একটি হামলা চালায়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ বিষয়ে একটি টেলিগ্রাম পোস্টে দাবি করেছেন, এটি পরিষ্কারভাবে প্রমাণ করে যে রাশিয়ার উদ্দেশ্য অপরিবর্তিত।
এছাড়া, খারকিভ ও ওডেসাসহ অন্যান্য এলাকায়ও হামলা চালানো হয়, যেখানে বাড়িঘর ও অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে। ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলের বোহোদুখিভ শহরে ড্রোন হামলায় তিনজন নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছেন।
এই হামলার তীব্রতা বৃদ্ধি পেতে থাকার কারণে ইউক্রেনীয় প্রশাসন এবং আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বেড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা এবং গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে, যা রাশিয়ার হামলার তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।এদিকে, রাশিয়ার হামলার তীব্রতা এবং বিপর্যয়ের মধ্যে পোলিশ প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বলেন, "যখন কেউ বর্বরদের তুষ্ট করে, তখন আরও বোমা, আরও আগ্রাসন, আরও হতাহত ঘটে।"
অন্যদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এই মুহূর্তে রাশিয়ার সাথে শান্তি স্থাপন না হলেও ইউক্রেনের সাথে কাজ করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। তবে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো বড় নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপের বিষয়টি তারা বিবেচনায় রেখেছে।
এই পরিস্থিতি ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে সংঘাতের গভীরতার প্রমাণ দেয়, যা প্রায় তিন বছর ধরে চলছে এবং এতে শান্তির কোনো সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না।
সূত্র : Sky News
রাজু