ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং

প্রকাশিত: ০৭:১১, ৯ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের সঙ্গে সবসময় সুসম্পর্ক চায় ভারত: রাজনাথ সিং

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সবসময়ই সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। 

শনিবার (৮ মার্চ) দেশটির বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসকে (আইএএনএস) দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন।   

রাজনাথ সিং বলেন, ভারত সবসময় তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে শক্তিশালী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।

ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারত সর্বদা তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় এবং বাংলাদেশও আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা সর্বদা আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করি। কারণ (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) অটল বিহারী বাজপেয়ী বলতেন, আমরা আমাদের বন্ধুদের পরিবর্তন করতে পারি; প্রতিবেশীদের নয়। সুতরাং, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট ক্ষমতায় আসে ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। সবশেষ শুক্রবারও (৭ মার্চ) বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল।

নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আমরা স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং প্রগতিশীল বাংলাদেশ সমর্থন করি; যেখানে সব সমস্যার সমাধান গণতান্ত্রিক উপায়ে এবং অন্তর্ভুক্তি ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে।

বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, গুরুতর অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সহিংস উগ্রপন্থীদের মুক্তি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে আরও তীব্র করে তুলেছে।

শুক্রবারের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের ‘হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা’র অভিযোগের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র বলেন, ভারত আশা করছে, বাংলাদেশ কোনও ধরনের পার্থক্য না করেই হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতার সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীর বিরুদ্ধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনবে।

জয়সওয়াল বলেন, আমরা বারবার গুরুত্ব দিয়ে বলেছি যে, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব।

এর আগে, গত মাসে ওমানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সতর্ক করেন ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সজিব

×