
ভোট কারচুপির অভিযোগে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক শাসন জারি হয় মিয়ানমারে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রধান নোবেল জয়ী অং সান সুচিকে গৃহবন্দী করে সেনাবাহিনী। সেই থেকে জান্তা সরকারের শাসন চলছে মিয়ানমারে।
ক্ষমতা গ্রহণের পর নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। তবে তা বহুবার ভঙ্গ করেছেন তিনি। এতে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে দেশটির অভ্যন্তরী রাজনীতি। টানা চার বছর জান্তা শাসন কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না মিয়ানমারের সাধারণ জনগণ। দানা বেধেছে জানতা বিরোধী ক্ষোভ। আর সেই খোবের বিস্ফোরণ ঘটায় দেশটির বেশ কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠী। শুরু হয় গৃহযুদ্ধ।
২০২৩ সালে আরাকান আর্মি, তাই ইয়াং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও মিয়ানমারে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মি এই তিন সশস্ত্র গোষ্ঠী মিলে থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গঠন করে। এরপরেই বেড়ে যায় জান্তা সরকারের ওপর আক্রমণ। উদ্দেশ্য ক্ষমতা থেকে সামরিক সরকারকে উৎখাত করা। এর মধ্যে সফলতার পথে অনেকটা এগিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। মিয়ানমারের প্রায় অর্ধেক দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা।
এমন পরিস্থিতিতে এবারে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করেছেন জান্তা প্রধান। চলতি বছরের শেষ নাগাদ অথবা ২০২৬ সালের শুরুর দিকে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে দেশটিতে। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম। তবে ঠিক কবে নির্বাচন হতে পারে তা স্পষ্ট করা হয়নি।
সমালোচকদের মতে, মিয়ানমারের স্বচ্ছ নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও খর্ব করা হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল অং সান সুচির এনএলডির বেশিরভাগ নেতাই কারাবন্দি। গৃহযুদ্ধের দাবানলে থাকা মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন আদৌ সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তবে অস্থির এ পরিস্থিতিতে ব্যালটের চর্চা জান্তা সরকারের জন্য বেশ চ্যালেঞ্জের হবে বলে মনে করছেন তারা।
সজিব