
ছবি:সংগৃহীত
ভারত বর্তমানে একটি সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, যেখানে দেশটি চারপাশ থেকে বিপদে। ঘর এবং বাইরে কোথাও শান্তি নেই, এবং এই মুহূর্তে ভারতের প্রতিবেশী কোনো বন্ধুও নেই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সখ্যতার চেষ্টা করেও তেমন লাভ হয়নি। এর পাশাপাশি, দেশের ভেতরেই রয়েছে নানা ধরনের অশান্তি।
ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি অব্যাহত অশান্তি চলছে। এই সাত রাজ্য আলাদা হয়ে যেতে চায়, যা দেশের ভেতর রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। তার ওপর রয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ, যা ভারতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়া, খালিস্থান আন্দোলনও আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। এসব আন্দোলন এবং পরিস্থিতি ভারতের জন্য একটি গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ধরনের অশান্তির মধ্যেই, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর তার লন্ডন সফরের সময় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনার শিকার হন। চ্যাথাম হাউজে এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পর, গাড়িতে উঠার সময় এক ব্যক্তি ভারতের পতাকা নিয়ে দৌড়ে আসেন এবং পতাকাটি মাঝ বরাবর ছিঁড়ে ফেলেন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, এই ব্যক্তি খালিস্থান আন্দোলনের সমর্থক হিসেবে চিৎকার করে স্লোগান দিচ্ছিলেন। পুলিশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করে এবং অবশেষে ওই ব্যক্তিকে গাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে নেয়। এই ঘটনাটি ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ খালিস্থান আন্দোলন বিদেশেও ভারত সরকারের জন্য এক চরম বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
খালিস্থান আন্দোলন মূলত শিখ সম্প্রদায়ের একটি দীর্ঘকালীন আন্দোলন, যার লক্ষ্য শিখদের জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পাঞ্জাব আলাদা হয়ে যায়, এবং ভারতের পাঞ্জাব আশির দশকে খালিস্থান আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এর জেরে সহিংসতা এবং হাজারো মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণ মন্দিরে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন, যার ফলে ব্যাপক রক্তপাতে ঘটনা ঘটে এবং স্বর্ণ মন্দিরের বড় ধরনের ক্ষতি হয়। সেই সময় থেকেই ভারতীয় রাষ্ট্র খালিস্থান আন্দোলনকে কঠোরভাবে দমন করে।
এখন, এই আন্দোলন আবার বিদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, যা ভারতের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।
আঁখি