
সামরিক সহায়তা স্থগিতের পর এবার গোয়েন্দা তথ্য শেয়ার বন্ধ করল যুক্তরাষ্ট্র, এমনটিই জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পরিচালক জন র্যাটক্লিফ। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ করেছে। এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ তৈরি হবে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরোধে ইউক্রেনের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যার ফলে প্রাণহানি বেড়ে যেতে পারে। খবরটি রইটার্সের।
এদিকে, গত সপ্তাহে কিয়েভকে সামরিক সহায়তা বন্ধ করার পরেই এই গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারিং বন্ধের ঘোষণা আসে। সম্প্রতি, ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন, যেখানে তিনি বলেছেন, আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
তবে, এই গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারিং আংশিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে নাকি পুরোপুরি তা স্থগিত করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর আগেও, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সমস্ত ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধ করেছিল, যা চাপ সৃষ্টি করতে সহায়তা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া, গত সপ্তাহে, ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল, যা প্রথম দিকে ভালোভাবে চলছিল, কিন্তু পরে তাদের মধ্যে তীব্র বাগবিতণ্ডা হয়। এরপর জেলেনস্কি কিয়েভে ফিরে যান। কয়েকদিন পর, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা স্থগিত ঘোষণা করে। তবে মঙ্গলবার, জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি শান্তির জন্য ট্রাম্পের নেতৃত্বে কাজ করতে প্রস্তুত। তিনি এক্স সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে বলেন, হোয়াইট হাউজের ঘটনাটি দুঃখজনক এবং বর্তমান পরিস্থিতি ঠিক করার সময় এসেছে।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, দ্রুত যুদ্ধ শেষ করার জন্য তারা প্রস্তুত, যার প্রথম ধাপে যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি এবং আকাশে যুদ্ধবিরতি স্থাপন, ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার ড্রোন, জ্বালানি ও অন্যান্য বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা নিষিদ্ধ করা এবং সমুদ্রে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হতে পারে, যদি রাশিয়াও একই পদক্ষেপ নেয়। এরপর, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি শক্তিশালী চূড়ান্ত চুক্তি সম্পাদনের জন্য কাজ করতে চান।
রাজু