ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

পরমাণু বর্জ্যকে বিদ্যুতে পরিণত

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ৬ মার্চ ২০২৫

পরমাণু বর্জ্যকে বিদ্যুতে পরিণত

পরমাণু বর্জ্যকে বিদ্যুতে রূপান্তর করতে পারে

পরমাণু বর্জ্যকে বিদ্যুতে রূপান্তর করতে পারে এমন এক পরমাণু ব্যাটারি তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, বিদ্যুৎ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক এটি। পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাটারি নিয়ে পরীক্ষা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দল, যেটি ডিভাইসে ব্যবহৃত বিভিন্ন মাইক্রোচিপকে শক্তি দিতে পর্যাপ্ত পারমাণবিক বিকিরণ সংগ্রহ করতে পারে। খবর ইন্ডিপেনডেন্টের। চার্জিং বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন ছাড়াই কয়েক দশক ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতার জন্য পারমাণবিক ব্যাটারি একটি লোভনীয় প্রযুক্তি।

এ যুগান্তকারী ব্যাটারিটি তৈরি করেছেন ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তারা বলছেন, ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি থেকে পরিবেষ্টিত গামা বিকিরণ গ্রহণ করে ও সিন্টিলেটর স্ফটিকের মাধ্যমে তা আলোতে রূপান্তরিত করে এই ব্যাটারি। আর এই আলো বিদ্যুতে রূপান্তরিত হয় সৌর কোষের মাধ্যমে। ‘আমরা এমন কিছু সংগ্রহ করছি যা প্রাকৃতিকভাবে বর্জ্য হিসেবে বিবেচিত এবং এটিকে আমরা গুপ্তধনে পরিণত করার চেষ্টা করছি’, বলেছেন এ গবেষণার প্রধান গবেষক ও ওহাইও স্টেট ইউনিভার্সিটির মেকানিক্যাল অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক রেমন্ড কাও।

ব্যাটারিটিতে কোনো তেজষ্ক্রিয় পদার্থ নেই অর্থাৎ এটিকে ধরা ছোঁয়ার বিষয়টি নিরাপদ। তবে এটি জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে না। গবেষকরা বলছেন, মহাকাশ ও গভীর সমুদ্র গবেষণার জন্য পারমাণবিক ব্যবস্থায় এসব ব্যাটারি ব্যবহারের কথা ভাবছেন তারা। চতুর্দশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার অধীনে এই প্রযুক্তিটি তৈরি করা হচ্ছে চীনে।

গত বছর বেজিংভিত্তিক কোম্পানি বেটাভোল্ট বলেছিল- ফোন, ড্রোন ও মেডিক্যাল ডিভাইসের মতো বাণিজ্যিকভাবে প্রয়োগে ব্যাপকহারে এসব পারমাণবিক ব্যাটারি তৈরির আশা করছেন তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে নির্মিত এই প্রোটোটাইপটি প্রায় একটি চিনির ঘনকের আকারের এবং এটি ১.৫ মাইক্রোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে।

×