
ছবি: সংগৃহীত।
কানাডায় নতুন ভিসানীতি কার্যকর হয়েছে, যা ভারতীয় শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। হিন্দুস্তান টাইমস-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নতুন নিয়ম চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে, যার ফলে সীমান্তে কর্মরত কর্মকর্তারা অস্থায়ী ভিসা বাতিলের ক্ষমতা পাচ্ছেন।
কানাডায় উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য বিপুলসংখ্যক ভারতীয় বসবাস করেন। তবে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কানাডার অভিবাসন নীতিতে একের পর এক পরিবর্তন এসেছে। গত বছর ফাস্ট-ট্র্যাক ভিসা বন্ধ করার পর এবার নতুন নিয়ম চালু হলো, যা বিদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে।
নতুন নীতিমালার আওতায় সীমান্ত কর্মকর্তারা ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (eTA) এবং টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা (TRV) বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন। এর অর্থ হলো, তারা এখন প্রয়োজন মনে করলে শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ওয়ার্ক পারমিট এবং স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল করতে পারেন।
সীমান্ত কর্মকর্তারা কয়েকটি নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ না হলে কারও ভিসা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করতে পারবেন।
যদি তারা মনে করেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভিসার শর্ত লঙ্ঘন করতে পারেন বা মেয়াদ শেষে কানাডা ছাড়বেন না।
যদি কোনও আবেদনকারী মিথ্যা তথ্য দেন বা তার অপরাধমূলক রেকর্ড থাকে।
যদি কোনও শিক্ষার্থী বা কর্মী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পড়াশোনা বা কাজের অনুমতি না নেন।
ভারতের সঙ্গে কানাডার রাজনৈতিক সম্পর্ক গত কয়েক মাসে অস্থির হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে এই নতুন ভিসানীতি ভারতীয় শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য আরও জটিলতা তৈরি করতে পারে। এর ফলে, কানাডায় পড়াশোনা ও কাজের জন্য আগের মতো সহজে ভিসা পাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কানাডার ভিসা নীতির এ পারিবর্তন শুধু ভারত নয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও কর্মীদের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে।
কানাডার এই নতুন নীতির ফলে দেশটিতে উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের জন্য যেতে ইচ্ছুক বিদেশিদের আরও সতর্ক হতে হবে। বিশেষ করে, ভারতীয় শিক্ষার্থী ও কর্মীদের ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যথাযথ নিয়ম মেনে চলা এবং নির্ভুল তথ্য প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ, যাতে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা এড়ানো যায়।
সায়মা ইসলাম