
ছবিঃ সংগৃহীত
দীর্ঘদিনের সংঘাত ও মানবিক সংকটের মধ্যেও গাজার মানুষ তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। চলমান সংঘর্ষ ও অবরোধের কারণে খাদ্যসংকট তীব্র হলেও, ইফতার সময় গাজার মানুষ সীমিত সম্পদের মধ্যেও সাধ্যমতো খাবারের ব্যবস্থা করছে।
গাজায় ইফতার এখন আর ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবারের আয়োজনের মতো নয়। অনেক পরিবারই পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে শুকনো রুটি, সেদ্ধ ডাল ও কিছু মৌসুমি ফল দিয়ে ইফতার করছে। কোনো কোনো পরিবার সামান্য পরিমাণ ভাত বা স্যুপের ব্যবস্থা করতে পারলেও, মাংস ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার তাদের কাছে দুষ্প্রাপ্য।
যুদ্ধ ও অবরোধের কারণে খাদ্য সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে খাদ্যের দাম আকাশচুম্বী। ত্রাণ সংস্থাগুলো সীমিত পরিসরে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে, তবে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।
গাজার এক বাসিন্দা বলেন, "আমরা এখন ইফতারে যা পাই, তা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খেতে হয়, স্বাদ বা পছন্দের প্রশ্নই আসে না। তবুও, আমরা রমজানের এই সময়টাকে যথাসম্ভব সম্মানের সঙ্গে পালন করার চেষ্টা করি।"
এমন পরিস্থিতিতেও গাজার মানুষ ধৈর্য ধরে আছে এবং ধর্মীয় বিশ্বাস ও সম্প্রদায়ের বন্ধনে নিজেদের শক্ত করে রেখেছে। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাজার এই মানবিক সংকট নিরসনে বিশ্বসম্প্রদায়ের আরও কার্যকর ভূমিকা প্রয়োজন।
ইমরান