
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই হোয়াইট হাউসে নানা পরিবর্তন এবং নীতিগত উলটপালট শুরু হয়েছে। তাঁর প্রশাসনের প্রথম কয়েক সপ্তাহ অস্থিরতা, বিতর্ক এবং একাধিক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবায়নের প্রচেষ্টার সাক্ষী হয়েছে।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ফেডারেল সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন, বাইডেন প্রশাসনের নীতিগুলোর প্রত্যাহার, এবং নতুন অর্থনৈতিক ও সামাজিক নীতির বাস্তবায়ন। বিশেষ করে অভিবাসন, স্বাস্থ্যসেবা ও জলবায়ু সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি বাতিল বা সংশোধন করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে দেশব্যাপী আলোচনা ও সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি হলো তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও ধনকুবের ব্যবসায়ী ইলন মাস্ককে "ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি" (DOGE)-এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া। এই নতুন সংস্থাটি ফেডারেল ব্যয় হ্রাস ও প্রশাসনিক ব্যুরোক্রেসি কমানোর লক্ষ্যে কাজ করবে। মাস্কের নিয়োগ অনেকের কাছে চমকপ্রদ হলেও, সমালোচকরা এই সিদ্ধান্তকে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বেসরকারি প্রভাব বৃদ্ধির একটি সংকেত হিসেবে দেখছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্বের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক নীতি বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছে, যা দেশজুড়ে রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর করতে পারে। নতুন প্রশাসনের নীতিগুলো কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা গভীর নজর রাখছেন।
সূত্র: হাফিংটন পোস্ট
এম.কে.