
ছবি:সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয়েছে। বৈঠকের সময়, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে বাস্তববাদী হতে পরামর্শ দেন, যা নিয়ে জেলেনস্কি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, "রাশিয়া আমাদের অঞ্চল দখল করে নিয়েছে, সাধারণ মানুষদের হত্যা করছে, শিশুদের অপহরণ করছে। এত কিছুর পরেও আপনি বাস্তববাদী হতে বলেন?"
এই বাকবিতণ্ডার পর, ট্রাম্প তার মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের নিয়ে আলাদা রুমে চলে যান, যেখানে তিনি জেলেনস্কির আচরণ নিয়ে আলোচনা করেন এবং তাকে অসম্মানিত বোধ করার কথা জানান। ট্রাম্পের নির্দেশে, জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়, এমনকি তাকে দুপুরের খাবার না খাইয়েই চলে যেতে বলেন।
বৈঠকের মূল বিষয় ছিল ইউক্রেনের বিরল খনিজসম্পদ নিয়ে চুক্তি। ট্রাম্প প্রস্তাব দেন, ইউক্রেনের খনিজসম্পদের ৫০ শতাংশ আমেরিকাকে দেওয়া হোক, যা জেলেনস্কি গ্রহণযোগ্য মনে করেননি। ফলে, কোনো চুক্তি ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু ইউরোপীয় নেতার মতে, এই ঘটনার পর ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন আরও জোরালো হয়েছে, তবে কিছু সমালোচক জেলেনস্কির আচরণকে সমর্থনযোগ্য মনে করেননি।
সাম্প্রতিক এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে, যেখানে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব ও স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে তার দৃঢ় অবস্থান স্পষ্ট হয়েছে।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক