
সভ্যতার ইতিহাসে কূটনৈতিক বৈঠকে বিশ্ব এক নজিরবিহীর ‘ঝগড়া’ উপভোগ করল।গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওভাল অফিসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সেই বিরল ঘটনাই ঘটল। এক সময় তাঁদের সঙ্গে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সও।
আমাদের প্রতি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। আমরা আপনাদের অনেক কিছু দিয়েছি প্রশ্নের জবাবে জেলেনেস্কি বলেন,কৃতজ্ঞতা? যখন-তখন আমাদের মানুষদের মেরে ফেলা হচ্ছে। শহরগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর আপনি আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বলছেন? আপস করতে বলছেন তাদের সঙ্গে?
এ ছাড়া এই মুহূর্তে আপনার আর কিছু করার নেই প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন,হ্যাঁ, কিছু করার নেই, কারণ আপনি সবকিছু আটকে রেখেছেন। আমাদের সহায়তা দিতে দেরি করছেন। পুতিনের মিথ্যা কথাগুলোরই পুনরাবৃত্তি করছেন আপনি। আর রাশিয়াকে সুযোগ করে দিচ্ছেন।
আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইউক্রেনকে অবশ্যই বাস্তববাদী হতে হবে প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন,আপনি কোন বাস্তববাদীতার কথা বলছেন? রাশিয়া অন্যায়ভাবে আমাদের জায়গা দখল করে নিচ্ছে, সাধারণ মানুষদের হত্যা করছে, শিশুদের পর্যন্ত অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। এত কিছুর পরেও আপনি বাস্তববাদী হতে বলেন?
এরপর কার্যত বৈঠক ভেস্তে যায়। মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জেলেনস্কিকে ওভাল অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর ইউরোপের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, জেলেনস্কি রাগ করে বৈঠক শেষ না করেই বের হয়ে এসেছেন।
তবে উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও জেলেনস্কির গোয়ার্তুমি দেখে ধারণা করা যায়, জেলেনস্কিকে বের করেই দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার ওভাল অফিসে ইউক্রেনের বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তি করতে বসেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা এতদিন যত যহায়তা দিয়েছে, তার বিনিময়ে ইউক্রেনের বিরল খনিজগুলোর ৫০ শতাংশ আমেরিকাকে ইউক্রেনের দিয়ে দেওয়া উচিত। এসব খনিজ সংক্রান্ত চুক্তির বৈঠকেই বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর ভেস্তে যায় বৈঠক। স্বাভাবিকভাবেই কোনো চুক্তিও হয়নি।
ফুয়াদ