রাগে চুক্তি না করায় হোয়াইট হাউজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় জেলেনস্কিকে

হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। বৈঠক শেষে ক্ষুব্ধ অবস্থায় জেলেনস্কি হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন। ট্রাম্প তাকে ‘চুক্তি করতে’ পরামর্শ দেন, আর জানান, ‘না করলে আমরা সরে যাবো’। এছাড়া, ট্রাম্প জেলেনস্কিকে ‘কৃতজ্ঞ’ থাকার এবং ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে জুয়া খেলার’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।

জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কোনো আপস করা সম্ভব নয়’, তবে ট্রাম্পের মতে, ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির জন্য কিছু ‘ছাড়’ দিতে হবে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি ছিল এক নজিরবিহীন উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্ত, যা শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলন বাতিল হয়। পরে ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি পোস্ট করে জানান, ‘যদি তিনি (জেলেনস্কি) শান্তির জন্য প্রস্তুত হন, তাহলে ফিরে আসতে পারেন।’ 

এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি ডোনাল্ড টাস্ক ইউক্রেনকে সমর্থন জানিয়ে এক্সে (সাবেক টুইটারে) লেখেন, ‘প্রিয় ইউক্রেনীয় বন্ধুরা, আপনরা একা নন।’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাক্রোঁ পর্তুগালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়াই আগ্রাসী, আর ইউক্রেনীয় জনগণই আক্রান্ত।’