
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবিঃ সংগৃহীত
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে বেশ বড়সড় মূল্য চুকাতে হচ্ছে ইউক্রেনকে। আমেরিকার কাছ থেকে পাওয়া সহায়তার বিনিমিয়ে ইউক্রেনে থাকা বিরল খনিজের ভাগ দিতে হবে দেশটিকে। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আসন্ন আমেরিকা সফরে এ রকম একটি চুক্তি হতে পারে। যা হলে ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে।
ইউক্রেনের বিরল খনিজে আমেরিকার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নিয়ে বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়া চলছে। এরই মধ্যে সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আমেরিকাকে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন। পুতিনের প্রস্তাবে বলা হয় ভবিষ্যতে একটি অর্থনৈতিক চুক্তির আওতায় রাশিয়ার বিরল খনিজ অনুসন্ধান উন্নয়নে মস্কো-ওয়াশিংটন যৌথভাবে কাজ করতে পারে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুসারে বিরল খনিজের মজুদে বিশ্বে রাশিয়ার অবস্থান পঞ্চম। তাদের অনুমিত হিসাব বলছে দেশটিতে মোট মজুদের পরিমাণ ৩.৮ মেট্রিক টন। তবে রাশিয়ার হিসাব মতে দেশটিতে বিরল খনিজের মোট মজুদ ২৮.৭ মিলিয়ন টন।
আমেরিকা ও ইউক্রেনের মধ্যে খনিজ চুক্তির আলাপ আলোচনার মধ্যেই এই প্রস্তাব দেয় রাশিয়া। এ বিষয়ে কাজ করতে ট্রাম্পও আগ্রহী।
যে কারণে খনিজ ভাগাভাগি করছে রাশিয়া?
রাশিয়ার খনিজ শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়ন নিয়ে দেশটির সরকারি নথি বলছে এই খনিজের অভ্যন্তরীণ চাহিদা কম। একই সঙ্গে এই শিল্পের ক্ষেত্রে চীনের সাথে তীব্র প্রতিযোগীতার মুখোমুখি হচ্ছে রাশিয়া। যা রাশিয়ায় এই শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এছাড়াও রাশিয়া ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক বাজারের ১২ শতাংশ বিরল খনিজ উৎপাদন করতে চায়। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অধিক সংখ্যক খনিজ সম্পদ উৎপাদনের বিকল্প নেই। আর তাই আমেরিকার সাথে মিলে বিরল খনিজ অনুসন্ধান এবং এই খাত বিকাশের উদ্যোগ নিয়েছে রাশিয়া।
মুমু