
ছবিঃ সংগৃহীত
১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ ভারতে ১০০ কোটি মানুষেরই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাইরে বাড়তি টাকা খরচের সামর্থ্য নেই। সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেশটির ধনী-দরিদ্র বিভাজনের এই এই চিত্র উঠে এসেছে।
এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে ধনী ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে না। বরং ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে।
ব্লুম ভেঞ্চার্স নামের একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্মের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতে প্রকৃত ভোক্তাশ্রেণীতে মানুষ রয়েছেন মাত্র ১৩-১৪ কোটি। রয়েছেন ৩০ কোটি উদীয়মান ভোক্তা, যারা যথেষ্ট চিন্তা করে খরচ করেন। ধনীদের কথা মাথায় রেখে যারা ব্যাবসা করেছেন, তাদের উন্নতি হয়েছে। কিন্তু গণমানুষের জন্য যারা ব্যাবসা করেছেন, তাদের ব্যাবসা বেশি আগাতে পারেনি।
কোভিড পরবর্তী ভারতে ধনীরা আরও ধনী হয়েছে। আর গরীবরা আরও গরীব হয়েছে। ভারতে দীর্ঘদিন ধরেই এই অর্থনৈতিক বৈষম্য প্রকট হচ্ছিলো। বর্তমানে দেশটির ৫৭.৭% আয়ের মালিক মাত্র ১০% মানুষ।
ভারতে বেকারত্বের একটি নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে হোয়াইট কলার বা মেধাভিত্তিক চাকরির সংকট। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ফলে এই চাকরিগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।
বিশ্বের একাধিক দেশের মতো ভারতও একটি ভোগনির্ভর অর্থনৈতিক দেশ। ফলে আর্থিক বৈষম্য ও চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পেলে অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মুমু