ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১

নিহতদের বেশিরভাগই গাজার বাসিন্দা

ইসরাইলি কারাগারে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যু

প্রকাশিত: ২০:২৮, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ইসরাইলি কারাগারে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দির মৃত্যু

ইসরাইলি কারাগারে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে বিপুল সংখ্যক এই ফিলিস্তিনি ইসরাইলি কারাগারে প্রাণ হারিয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের বেশিরভাগই অবরুদ্ধা গাজা ভূখণ্ডের বাসিন্দা। এদিকে ইসরাইলের কারাগারে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালায় বর্বর ইসরাউলিরা। জিজ্ঞাসাবাদের নামে এক ফিলিস্তিনির শরীরে এসিড ঢেলে দেয়ার মতো বর্বরতাও করেছে দখলদাররা। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
মোহাম্মদ আবু তাওয়িলা নামে এক বন্দি এই অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি তিনি ইসরাইলি বন্দিশালা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি জানান, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইসরাইলি জেলাররা তার শরীরে এসিড এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ ঢেলে দেয়। আবু তাওয়িলাকে গাজা থেকে অপহরণ করা হয় এবং চোখে ঘুষি মারাসহ তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তাকে ক্লোরিন, থালা-বাসন ধোয়ার তরল, লন্ড্রি ডিটারজেন্ট, সাবান এবং এয়ার ফ্রেশনারসহ রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, তিন দিন আমার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আমার চোখেও আঘাত করা হয়। হাড়ের মতো শক্ত কিছু লাগানো গ্লাভস পরে একজন আমার চোখে ঘুষি মারতে থাকে। ইসরাইলি সেনারা এসিড এবং অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে নির্যাতন করার পর তার শরীরে কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে তা দেখার পর তাকে অধিকৃত পশ্চিমতীরে স্থানান্তর করে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলি কারাগারে কমপক্ষে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছেন বলে বন্দিদের অধিকার বিষয়ক একটি গ্রুপ বুধবার জানিয়েছে। প্যালেস্টানিয়ান প্রিজন সোসাইটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে গাজা উপত্যকার ৩৮ জন বন্দি রয়েছেন। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাজার বন্দিদের মৃত্যুর তথ্য গোপন করার অভিযোগও করেছে সংস্থাটি। বন্দি বিষয়ক কমিশন জানিয়েছে, গাজার বন্দি মুসাব হানি হানিয়াহ ইসরাইলি হেফাজতে মারা গেছেন। ৩৫ বছর বয়সী হানিয়াহকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস থেকে ২০২৪ সালের ৩ মার্চ আটক করেছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তার পরিবারের মতে, আটক হওয়ার আগে হানিয়াহ সুস্থ ছিলেন।

×