ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১

রমজানে আল আকসায় নামাজ পড়তে দেবে না ইসরাইল

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

রমজানে আল আকসায় নামাজ পড়তে দেবে না ইসরাইল

ছবি: সংগৃহীত।

ইসলামের প্রথম কিবলা, আল আকসা মসজিদ, বিশ্ব মুসলিমদের অত্যন্ত পবিত্র স্থান হিসেবে বিবেচিত। তবে, এই রমজানে মসজিদে নামাজ পড়ার উপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসরাইল। একাধিক সময় আল আকসা মসজিদে নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের উপর ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে এবং মসজিদের পবিত্রতাও নষ্ট করেছে। কিন্তু এবার যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, তা যেন ছাড়িয়ে গেছে সব সীমা।

তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদলু জানায়, ইসরাইল শুধুমাত্র সেই সব পুরুষ ফিলিস্তিনিদের আল আকসায় যেতে দেবে, যাদের বয়স ৫৫ বছর বা তার বেশি, এবং নারীদের বয়স ৫০ বছর বা তার বেশি হতে হবে। তবে, যারা সম্প্রতি দখলদারদের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে, তাদের আল আকসা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। ইসরাইল তরুণ ফিলিস্তিনিদের রোজা রেখে পবিত্র এই মসজিদে নামাজ পড়ার সুযোগও দিতে চায় না, এমনিতেও ইসরাইল তরুণ ফিলিস্তিনিদের মসজিদে যাওয়ার জন্য বাধা প্রদান করে থাকে।

এছাড়া, দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, যখন ওয়াল এন্ড ফ্রিজের মতো নানা পণ্য বিক্রি করে মানুষ নিজেদের মিলেনিয়াম অর্জন করতে চায়। রমজানে আল আকসা মসজিদ এবং পূর্ব জেরুজালেমের দিকে যাওয়ার রাস্তায় চেকপয়েন্ট বসানো হবে, যেখানে প্রতিদিন দখলদার ইসরাইলের ৩০০০ পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীর থেকে মাত্র ১০,০০০ ফিলিস্তিনিকে আল আকসায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথাও ভাবছে।

মক্কা ও মদিনার পর, জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ ইসলাম ধর্মের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি ফিলিস্তিনি মুক্তি আন্দোলনের প্রতীকও। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিরাজের রাতে কাবা শরীফ থেকে প্রথমে আল আকসা এসেছিলেন এবং মিরাজে গমনের আগে এখানে সব নবীদের সাথে নামাজ আদায় করেছিলেন। অপরদিকে, ইহুদিরা বিশ্বাস করে, এখানেই ছিল তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র উপাসনালয়। তারা মনে করে, ৩০০০ বছর আগে রাজা সোলেমান এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিলেন, যা পরে ধ্বংস করে দেয় ব্যাবিলোনীয়রা। দ্বিতীয় উপাসনালয়টি ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান বাহিনী ধ্বংস করে দেয়। এখানে একটি খ্রিস্টান ব্যাসিলিকাও ছিল, যা একই সময়ে ধ্বংস হয়। সেই উপাসনালয়ের শুধুমাত্র পশ্চিম দিকের দেয়ালটি এখনো টিকে আছে এবং এটি ইহুদিদের প্রার্থনার স্থান হিসেবে পরিচিত, যা "ওয়েস্টার্ন ওয়াল" নামে পরিচিত।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=q5ajOLW5JJM&ab_channel=EkattorTV

নুসরাত

×