
আফগান শাসনব্যবস্থা এমনভাবে সাজানো যেখানে ধর্মীয় নেতারা সিদ্ধান্ত নেন আর কাবুলের প্রশাসন তা বাস্তবায়ন করে। ২০২১ সালের ১৫ই আগস্ট সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো কাবুলের ক্ষমতায় বসে তালেবানরা।
বিদ্রোহী থেকে শাসকে পরিণত হয়ে নিজেদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ইসলামিক শাসন শুরু করেন তারা। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না পেলেও আঞ্চলিক বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করছেন তালেবানরা। তাদের প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের উদ্যোগে আয়োজিত বিভিন্ন বৈঠকেও অংশ নিয়েছেন।
তবে আফগানিস্তানের অর্থনীতি এখনও সংকটময়, বিদেশী সহায়তার উপর নির্ভরশীল। দেশটির জিডিপির ৩০ শতাংশ আসে আন্তর্জাতিক অনুদান থেকে। জাতিসংঘ গত তিন বছরে দেশটিকে ৩৮০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে।
২০২৩ সালে ২৯৬ কোটি ডলার রাজস্ব আদায় করেছে তালেবান সরকার। তবে দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে আরো অনেক বেশি অর্থ প্রয়োজন। ব্যাংকিং ব্যবস্থা দুর্বল ও সুদ নিষিদ্ধ থাকায় ঋণ দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো।
নারীদের শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাশাপাশি পাকিস্তান থেকে ফিরতে থাকা শরণার্থী এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগও তালেবানদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশ জুড়ে তালেবান নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হলেও দেশটি নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য এখনও নিরাপদ নয়। নারীদের পোশাক, চলাফেরা ও চাকরির উপর কঠোর বিধিনিষেধ থাকায় তাদের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়েছে বলেও মনে করছেন অনেকে।
তালেবানরা ক্ষমতায় আসার পর অনেক গণমাধ্যম বন্ধ হয়ে গেছে আর যেগুলো চালু আছে তারাও রয়েছে কঠোর সেন্সরশিপের মধ্যে।
বিশ্বের কোন দেশ এখনও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি না দিলেও কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। তিন বছর পরও তালেবান শাসনে নানা সংকটে জর্জরিত আফগানিস্তান। দেশটির ভবিষ্যৎ কী হবে তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে এখনও।
তথ্যসূত্র : https://tinyurl.com/epby2n5z
রাকিব