
ছবিঃ সংগৃহীত।
আফগানিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে তালেবানরা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসেন। ক্ষমতা এসে তারা ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন। তালেবানরা তেমন কোনো স্বীকৃতি না পেলেও রাশিয়া এবং চীনের মত পরাশক্তির সহযোগিতা পাচ্ছেন শুরু থেকেই। জাতিসংঘ আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তালেবানের নেতারা অংশ নিলেও তীব্র আলোচনার পরেও এখন পর্যন্ত তারা কোন নারী প্রতিনিধিকে সেখানে পাঠাননি। আফগানিস্তানে তালেবান খুব কঠোরভাবেই ইসলামী শরীয়ত বাস্তবায়ন করে রেখেছেন।
আফগানিস্তানে তালেবান শাসনের তিন বছর পূর্ণ হয়েছে। এই সময়ে, তালেবান ইসলামি শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে। তবে, তাদের কঠোর শরিয়া ব্যাখ্যার কারণে নারীদের শিক্ষা, পোশাক এবং ভ্রমণের উপর উল্লেখযোগ্য বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে পড়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, কিছু সূচকে উন্নতি দেখা গেলেও, ব্যাপক মানবিক সংকট অব্যাহত রয়েছে। দেশের অর্ধেকেরও বেশি জনগণ সহায়তার প্রয়োজন, যা আন্তর্জাতিক সহায়তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার উপর নির্ভরশীল।
সাম্প্রতিক সময়ে, তালেবান সরকার আফগানিস্তানে ইসলামি শাসনের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করেছে, যেখানে তারা তাদের অর্জন ও ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। সর্বোপরি, আফগানিস্তানের ইসলামি শাসন এখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনা ও চাপের মধ্যে রয়েছে।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক