
আগে ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। তাহলেই কেবল গাজায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ইসরাইলের সঙ্গে আলোচনা করবে হামাস। হামাস নেতা বাসেম নাঈম রবিবার এ কথা বলেন। হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য নাঈম রয়টার্সকে বলেন, মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে শত্রুদের সঙ্গে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনার শর্ত হচ্ছে আগে ৬২০ বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে, যাদের ৬ ইসরাইলি জিম্মির মুক্তি এবং চার জিম্মির মৃতদেহ ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। ছয় জিম্মিকে ও চার মৃতদেহ গত শনিবারই হস্তান্তর করা হয়েছে। বাসেম নাঈম জোর দিয়ে আরও বলেন, চুক্তিতে সেসব শর্ত থাকে, শত্রুরাও যেন তা মেনে চলে, তা মধ্যস্থতাকারীদের নিশ্চিত করতে হবে। শনিবার ছয় ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। তাদের সঙ্গে চার জিম্মির মৃতদেহও হস্তান্তর করা হয়। বিনিময়ে ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল ইসরাইলের। কিন্তু ইসরাইল ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি পিছিয়ে দিয়েছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে রবিবার বলা হয়েছে, পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং জিম্মি মুক্তির সময় অসম্মানজনক অনুষ্ঠান বাতিল না করা পর্যন্ত ৬২০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দি ও বন্দিদের হস্তান্তর করার অপেক্ষা করবে ইসরাইল। ইসরাইলের অভিযোগ, সম্প্রতি জিম্মি মুক্তি দেওয়ার সময় হামাস জিম্মিদের সঙ্গে ‘অসম্মানজনক আচরণ’ করছে।