ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২ ফাল্গুন ১৪৩১

আমরা পুনরায় তীব্র লড়াই শুরু করতে প্রস্তুত: নেতানিয়াহু

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:৫৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আমরা পুনরায় তীব্র লড়াই শুরু করতে প্রস্তুত: নেতানিয়াহু

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় আবারও যুদ্ধ শুরু করার হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল রোববার তিনি বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আবারও শুরু করতে প্রস্তুত তাঁর দেশ। 
এদিকে, হামাস অভিযোগ করেছে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত করে ইসরায়েল পাঁচ সপ্তাহের গাজা যুদ্ধবিরতিকে বিপদের মুখে ফেলছে।

এদিকে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ আগামী মার্চের শুরুতে শেষ হওয়ার কথা। তবে পরবর্তী ধাপ কীভাবে বাস্তবায়িত হবে, সে বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হয়নি। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি গাজায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ কার্যত স্থগিত রেখেছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেওয়ার পর গতকাল রোববার ইসরায়েল দখলকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। গাজায় চলমান যুদ্ধে পশ্চিম তীরে সহিংসতা চরমে পৌঁছেছে।
এর আগে, গত শনিবার গাজা থেকে ছয় ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাওয়ার পর ইসরায়েল ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তি স্থগিত করে। এরপর রোববার এক সামরিক অনুষ্ঠানে নেতানিয়াহু বলেন, যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনে তাঁরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চান, তবে অন্য উপায়েও তা নিশ্চিত করা হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে পুনরায় তীব্র লড়াই শুরু করতে প্রস্তুত।’

উল্লেখ্য, গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে হামাস ২৫ জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে। এসব জিম্মির মুক্তি অনুষ্ঠানে মুখোশধারী বন্দুকধারীদের উপস্থিতি এবং জিম্মিদের বলপ্রয়োগ করে কথা বলানো নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় ইসরায়েল হামাসের বিরুদ্ধে ‘অপমানজনক অনুষ্ঠান’ আয়োজনের অভিযোগ এনে ৬ শতাধিক ফিলিস্তিনি বন্দীর নির্ধারিত মুক্তি স্থগিত করে। নেতানিয়াহু বলেন, ‘গাজায় অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ কারণে তাঁর সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জিম্মি-বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি আগেও আহ্বান জানিয়েছিল, যাতে এসব বিনিময় ‘সম্মানজনক ও ব্যক্তিগত’ উপায়ে সম্পন্ন হয়।

এদিকে, হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা বাসেম নাইম সতর্ক করে বলেন, বন্দী মুক্তি স্থগিত হওয়ায় ‘পুরো চুক্তি মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।’ তিনি যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারীদের, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানান, যাতে তারা ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করে চুক্তি অনুযায়ী বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করতে পারে। যুদ্ধবিরতির সময় উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে লঙ্ঘনের অভিযোগ তুললেও এখন পর্যন্ত এটি টিকে রয়েছে।

মুমু

×