
ছবি: সংগৃহীত।
অনিন্দ সুন্দর পাকিস্তান, তবে শুধু সৌন্দর্যই নয়, আরো একটা বিষয় স্বীকার করতেই হবে। রাজধানী ইসলামাবাদের রাস্তা এতটাই পরিচ্ছন্ন যে কল্পনাও করা যায় না। তার উপর, পুরো শহরে নেই কোন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট। এজন্যই যেন সেই সৌন্দর্য বেড়ে গেছে বহু গুণে। হোটেল থেকে শুরু করে প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড, যে রাস্তা ধরে বাংলাদেশ দল যাবে, তার পুরোটাই নিরাপত্তার ছায়াতলে।
পাকিস্তান নিয়ে যখন আলোচনা ওঠে, তখন সবার আগে উঠে আসে নিরাপত্তার প্রশ্ন। বাংলাদেশ দল ঠিক এই রোড দিয়ে যাচ্ছে প্র্যাকটিস গ্রাউন্ডে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, রাস্তা সুসজ্জিত আছে, এবং একই সঙ্গে সাধারণ মানুষ থেকে ট্রাফিক পুলিশ, সবাই যথেষ্ট কোঅপারেট করছে বাংলাদেশ টিমকে মাঠে পৌঁছানোর জন্য। এই দৃশ্যগুলো একটা জিনিস পরিষ্কার করছে—পাকিস্তান নিয়ে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে যতটা আলোচনা হয়, ঠিক অতটাও সমস্যা হয়না।
পাকিস্তানের রাজধানীর রাস্তা ধরে আবারো এগিয়ে চলা। রাস্তার দুধারে তাকালে বোঝার উপায় নেই, এটাই এদেশের রাজধানী। ট্রাফিক জ্যামের পরিবর্তে এখানে চোখে পড়ে শুধুই প্রকৃতির ছোঁয়া। আইসিসির গ্রাউন্ড নয়, একটা সোশ্যাল ক্লাবের মাঝে বাংলাদেশের অনুশীলন। সেখানেও ঢোকার মুখে প্রচণ্ড করাকড়ি। কোন ধরনের অপ্রীতিকর কিছু যেন না ঘটে, তার সব ব্যবস্থাই করে রাখা হয়েছে।
এখানে মূল সমস্যা হয়ে গেছে, যারা দায়িত্বে আছেন, তারা কিছু ইংরেজি বুঝতে না পারার কারণে আসলে কমিউনিকেশন সমস্যা হচ্ছে, এবং একই কারণে মাঠে কে ঢুকবে, কে ঢুকতে পারবে না—এই নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। কিন্তু নিরাপত্তা যে ব্যাপারটা বলা হচ্ছে, তারা কিন্তু নিরাপত্তা দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমকে।
বাইরে যেমন নিরাপত্তা, ক্লাবের ভেতরেও একই। সব দেখে অভিভূত বাংলাদেশ থেকে আসা সংবাদকর্মীরা। এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে যেভাবে আসলে পুরো সিকিউরিটি ব্যবস্থা সাজিয়েছে, সেখানে স্যালুট তাদেরকে দিতেই হবে। আমরা দেখেছি, লোকাল সাংবাদিকরাও কিছুটা প্রবলেম ফেস করেছেন, যারা এখনো কার্ড কালেক্ট করতে পারেনি।
একজন গণমাধ্যম কর্মীকে যখন এমন নিরাপত্তার মাধ্যমে আসতে হয়, তখন বোঝাই যাচ্ছে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাটা আসলে কেমন। সিকিউরিটি তো একেবারেই যেটা বলে। আর কি, যে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা। এরকম ব্যাপারটা মনে হচ্ছে। কারণ চারদিকেই আসলে সেনাবাহিনী, পুলিশ। প্রচণ্ড অনিরাপত্তা কিংবা ঝুঁকি পাকিস্তান বলতে আমাদের মাথায় এ বিষয়গুলো আগে আসে। কিন্তু এখানে আসার পর বাস্তবতা বলছে একেবারেই ভিন্ন। বরং বাংলাদেশী বললেই পাওয়া যাচ্ছে বাড়তি কদর—সেটা হোক প্রশাসন কিংবা পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের কাছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=y2BOnHOmVq4&ab_channel=DBCNEWS
নুসরাত