
ছবি: সংগৃহীত
মধ্যপ্রাচ্যে গতকাল ছিল এক অনিশ্চয়তার দিন। সকালে রাফাহতে একটি মঞ্চস্থ ইভেন্টের সময় জিম্মি তাল শোহাম এবং আভেরা মেঙ্গিস্টু মুক্তি পান। একইভাবে গাজার মধ্যাঞ্চল নুসাইরাতে এলিয়া কোহেন, ওমর শেম তোভ, এবং ওমর ওয়েনকার্ট মুক্তি পান। ষষ্ঠ জিম্মি হিশাম আল-সাইদ-কে গাজা শহরে রেড ক্রসের কাছে একটি ব্যক্তিগত বিনিময়ের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। হামাস এ বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি, তবে ইসরায়েলি মিডিয়া জানিয়েছে যে এটি ইসরায়েলের আরব সম্প্রদায়ের প্রতি "সম্মান" দেখানোর জন্য করা হয়েছে, যেহেতু হিশাম আল-সাইদ ওই সম্প্রদায়ের সদস্য।
পরে ছয়জন জিম্মিকেই ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁদের পরিবারের সাথে পুনর্মিলন হয়।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাল্টা বিনিময়ের অংশ হিসেবে ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। এদের মধ্যে ৫০ জন আজীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত, ৬০ জন দীর্ঘ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এবং ৭ অক্টোবরের পর থেকে আটক ৪৪৫ জন ফিলিস্তিনি ছিলেন।
ওয়েস্ট ব্যাংকের ওফার কারাগারের সামনে তাঁদের পরিবার ও বন্ধুরা অপেক্ষা করছিলেন। গাজার খান ইউনিসে ৮০ বছর বয়সী এক মা এএফপি নিউজ এজেন্সিকে বলেছেন যে তিনি "বিশ্বাসই করতে পারছেন না" যে তাঁর ছেলে ৩৩ বছর কারাবাসের পর মুক্তি পেতে চলেছেন।
তবে হামাস ইসরায়েলকে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে, কারণ ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। রবিবার স্থানীয় সময় ভোরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেন যে, "পরবর্তী জিম্মিদের মুক্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত" বন্দিদের মুক্তি স্থগিত থাকবে এবং "অপমানজনক আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া" এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, হামাস "প্রচারণার জন্য জিম্মিদের নিষ্ঠুরভাবে ব্যবহার করছে" এবং "আমাদের জিম্মিদের জন্য মর্যাদাহানিকর অনুষ্ঠান" আয়োজন করছে।
এই সিদ্ধান্ত হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে নতুন করে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ বিবিসি
আবীর