ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

আমেরিকার ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, ইরানের জন্য বড় সতর্কবার্তা?

প্রকাশিত: ০৮:১৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

আমেরিকার ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, ইরানের জন্য বড় সতর্কবার্তা?

ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব রাজনীতিতে ফের উত্তেজনার পারদ চলছে। একদিকে ইরান যখন তাদের সামরিক মহড়া চালাচ্ছে, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম আন্তমহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম উৎক্ষেপণ করে নিজেদের শক্তি জাহির করল।

এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে শঙ্কা আর উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। আমেরিকা তার পরমাণু শক্তির জন্য পরিচিত। বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক অস্ত্র রয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা অন্যতম। এবার বিশ্বকে চমকে দিয়েছে পরাশক্তি আমেরিকা। আমেরিকার এই ক্ষেপণাস্ত্র খুবই শক্তিশালী। এর শক্তি দেখে বিশ্ব অবাক। মার্কিন প্রতিরক্ষা বাজেট কমানোর খবরের মধ্যে এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা।

অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এমন এক সময় ঘটলো যখন ইরান তাদের সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ইরানের প্রতি একটা করা বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে বোঝাতে চাইছে যে তারা কোন পরিস্থিতিতেই পিছিয়ে নেই। মিনিটম্যান থ্রি এর শুটিং। যুক্তরাষ্ট্র বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেলবার্গ স্পেস ফোর্স ঘাটি থেকে মিনিটম্যান থ্রি নামে একটি আইসিবিএম উৎক্ষেপণ করেছে। মার্কিন বিমান বাহিনী জানিয়েছে, এটি একটি নিরস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। তবে এর পরমাণু ওয়ারহেট বহনে সক্ষমতা রয়েছে। মিনিট প্যান্ট থ্রি এর পাল্লা ১৪০০০ কি.মি. এবং এটি ঘন্টায় ২৪০০০ কি.মি. গতিতে ছুটতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক প্রতিরোধক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই উৎক্ষেপণ বর্তমান বিশ্বের ঘটনাগুলোর প্রতিক্রিয়া নয়। তাদের দাবি, আমেরিকা অতীতেও ৩০০ টিরও বেশি এই জাতীয় পরীক্ষা চালিয়েছে।

 তবে এই মুহূর্তে এই পরীক্ষা চালানোর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্রদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছে যে, তাদের পারমাণবিক প্রতিরোধ নিরাপদ, সুরক্ষিত, নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকর রয়েছে। একই সাথে তারা ইরানকে নিজেদের সামরিক শক্তি সম্পর্কে একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছে।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার বিষয়ে রাশিয়া, চীন বা অন্য কোন পারমাণু শক্তিকে তারা সতর্ক করেছে কিনা সে বিষয়ে মার্কিন কর্মকর্তারা কিছুই বলেননি। ১৯৭০ এর দশকে প্রথম প্রবর্তিত মিনিটম্যান থ্রি। মার্কিন পারমাণবিক প্রতিরোধক কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবেই রয়ে গেছে। দেশটির মনটানা, নর্থ ডাকোটা এবং ওয়াই ওমিং এ ভূগর্ভস্থ সাইলোতে এই ধরনের ৪০০ টি অপারেশনাল ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

শঙ্কা আর উত্তেজনা যুক্তরাষ্ট্রের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এমন এক সময় ঘটলো, যখন ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্ক এমনিতেই উত্তেজনাকর। এই পরিস্থিতিতে এই পরীক্ষা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মো. মহিউদ্দিন

×