ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

পাকিস্তানের প্রেমের ফাঁদে ভারতের সর্বনাশ!

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পাকিস্তানের প্রেমের ফাঁদে ভারতের সর্বনাশ!

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম নৌঘাটি আইএনএস কদম্ব থেকে সংবেদনশীল তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর বিরুদ্ধে। ভারতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ ইতোমধ্যে দুই সিভিলিয়ান কন্ট্রাক্টরকে আটক করেছে, যাদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা ২০২৩ সাল থেকে হানি ট্র্যাপ কৌশল চালিয়ে আসছিলেন। তিনি নিজেকে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে পরিচয় দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামের মাধ্যমে আইএনএস কদম্বে কর্মরত দুই কন্ট্রাক্টরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। দীর্ঘ আট মাস ধরে তাদের বিশ্বাস অর্জন করার পর তিনি কৌশলে ভারতীয় নৌবাহিনীর সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নৌঘাটির সংরক্ষিত এলাকাগুলোর ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ সামরিক নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোর নকশা এবং সিমুলেটর বিল্ডিং-এর অবস্থান সংক্রান্ত তথ্য পাচার করা হয়েছে। এমনকি, কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা "রেডি টু এঙ্গেজ" মোডে রয়েছে— এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে পৌঁছে গেছে।

আটক দুই কন্ট্রাক্টরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে তাদের ৫০০০ রুপি করে দেওয়া হতো। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা এই দীর্ঘ পরিকল্পিত ফাঁদ তৈরি করে প্রেমের মাধ্যমে তাদের মন গলিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছিল।

১৩ হাজার একরজুড়ে বিস্তৃত আইএনএস কদম্ব ভারতের পশ্চিম উপকূলে সবচেয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ নৌঘাটিগুলোর একটি। সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে এটি হবে পূর্ব গোলার্ধের বৃহত্তম নৌঘাটি। তবে এই ধরনের গোপন তথ্য পাচারের ঘটনা ভারতের সামরিক নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।

এই ঘটনার পর ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে এবং সামরিক বাহিনীতে কর্মরতদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর আগে, ২০২৩ সালে বিশাখাপাট্নাম নৌঘাটি থেকেও একই কৌশলে গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছিল আইএসআই-এর বিরুদ্ধে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে।

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/Bh0cVsQOISo?si=cfbkAnDo2P8iMV-M

এম.কে.

×