ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

৬ ইসরাইলি জিম্মিকে ছেড়ে দিল হামাস

সপ্তম দফায় ৬০২ ফিলিস্তিনি মুক্ত

প্রকাশিত: ২০:১৪, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সপ্তম দফায় ৬০২ ফিলিস্তিনি মুক্ত

যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় সপ্তম দফায় শনিবার ছয় ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। বিনিময়ে ৬০২ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। হামাসের মুক্তি দেওয়া জিম্মির প্রকাশিত তালিকায় রয়েছে- এলিয়া কোহেন, ওমের শেম টভ, তাল শোহাম, ওমের ওয়েনকার্ট, হিশাম আল-সায়েদ এবং আভেরা মেঙ্গিস্টো। তাদের মধ্যে মেঙ্গিস্টো এবং আল-সায়েদ গাজায় এক দশক আগে প্রবেশ করেছিলেন এবং সেখানেই আটক ছিলেন। এদিকে শিরি বিবাসের আসল মরদেহ নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে আরেকটি মরদেহ রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরাইলে পাঠিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা গেছে, সেই মরদেহটি শিরি বিবাসের। ইসরাইলি নারীর পরিবারও বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর আলজাজিরার।
শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার কর্তৃপক্ষ জানায়, ১৫ জানুয়ারির যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর থেকে ৩৫০টিরও বেশি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে ইসরাইল। লঙ্ঘনের তালিকায় আছে গাজা উপত্যকার পূর্ব সীমান্তে ইসরাইলি সেনাদের অনুপ্রবেশ, বিমান ও ড্রোন হামলা এবং সরাসরি গুলিবর্ষণ। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত ও আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়। এমনকি হামাস ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে বাস্তুচ্যুতদের উত্তর গাজায় ফিরতে বাধা দেওয়া, আশ্রয় সামগ্রী প্রবেশে বাধা এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছাতে বিলম্ব করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়। এদিকে গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নেওয়া ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে চাপিয়ে দিতে চান না ট্রাম্প বরং এটিকে প্রস্তাব হিসেবে উপস্থাপন করবেন বলে ফক্স নিউজকে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও জানান, জর্ডান ও মিসর তার পরিকল্পনার বিরোধিতা করায় তিনি অবাক হয়েছেন। যদি যুক্তরাষ্ট্র গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় তবে সেখানে হামাস থাকবে না, উন্নয়ন হবে এবং সবকিছু নতুনভাবে শুরু করা যাবে বলেও জানান ট্রাম্প। এরমধ্যেও থেমে নেই পশ্চিমতীরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসন। দখলে থাকা পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বাহিনী দুই ফিলিস্তিনি শিশুকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বার্তা সংস্থা ওয়াফা। নিহত ১২ বছর বয়সী আয়মান নাসের আল-হায়মুনি হেবরনের বাসিন্দা, ১৩ বছর বয়সী রিমাস আল-আমুরি জেনিনের। হেবরনের দক্ষিণে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ইসরাইলি বাহিনী আল-হায়মুনিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা সেখানেই তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আল-আমুরির পেটে গুলি লাগে। তাকেও দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তাও বাঁচানো যায়নি। ডিফেন্স ফর চিলড্রেন ইন্টারন্যাশনাল-ফিলিস্তিন (ডিসিআইপি) জানিয়েছে, শনিবার জেনিনে নিজ বাড়ির সামনে দাঁড়ানো অবস্থায়ই আল-আমুরিকে গুলি করা হয়। এক ইসরাইলি সেনা সাঁজোয়া গাড়ি থেকে কমপক্ষে পাঁচটি গুলি চালায়, গুলিগুলো শিশুটির পিঠে লাগে। ইসরাইলি সেনারা হুট করে কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই শিশুটির ওপর এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ডিসিআইপির প্রতিনিধি আয়েদ আবু ইকতাইশের।

×