
ছবিঃ সংগৃহীত।
যেকোনো সময় লেগে যেতে পারে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ। দুই দেশের গণমাধ্যম জানাচ্ছে, কাশ্মীর সীমান্তে এরই মধ্যে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করেছে তারা। মোতায়ন করেছে ভারী অস্ত্র। তবে কি কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে পারমাণবিক যুদ্ধ হতে যাচ্ছে দুই দেশের মধ্যে?
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কাশ্মীর বিরোধের জের ধরে ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ১২.৫ কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। গবেষকরা বলছেন, এর ফলে জলবায়ুর উপর প্রভাব পড়বে, তাতে অনাহারে মারা যাবে আরো বহু কোটি মানুষ। এরকম এক বিপর্যয়ের ধারণা দিতে গিয়ে বলা হচ্ছে ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর এই দুটো দেশের মধ্যে যুদ্ধ লেগে যেতে পারে।আমেরিকার রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় এসব আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
কাশ্মীরি নিয়ে প্রায়শই মুখোমুখি হচ্ছে দুই দেশ। যদিও ২০২৩ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকার কথা। কিন্তু উভয় পক্ষই প্রায়ই একে অপরের বিরুদ্ধে এই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে। কাশ্মীর ইস্যু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী বিতর্ক এবং সংঘর্ষের মূল কারণ। এই দুই দেশ প্রায়ই সীমান্তে উত্তেজনা এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে থাকে একে অপরের বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শন এবং অস্ত্র মোতায়েন করা। কাশ্মীর নিয়ে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক কখনও শান্তি প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়নি, এবং পরিস্থিতি যে কোন সময় আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যেতে পারে, এবং তা মানবতার জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। গবেষণায় বলা হয় যে, পারমাণবিক সংঘর্ষের ফলে শুধুমাত্র ভারত ও পাকিস্তানে নয়, বিশ্বজুড়ে বিশাল পরিমাণে প্রাণহানি হতে পারে। এতে কেবল ১২.৫ কোটি মানুষের প্রাণহানি হতে পারে, কিন্তু পরবর্তীতে জলবায়ু পরিবর্তন এবং অনাহারের কারণে আরো কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পারমাণবিক যুদ্ধের ফলে গ্লোবাল খাদ্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে, কারণ গ্লোবাল কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। এই ধরনের এক বিপর্যয় কেবল দক্ষিণ এশিয়াকে নয়, পুরো পৃথিবীকেই কঠিন পরিস্থিতে ফেলতে পারে। এই পরিস্থিতি বিশ্বের কাছে উদ্বেগজনক, এবং আশা করা হচ্ছে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শক্তিশালী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত করতে সক্ষম হবে।
মুহাম্মদ ওমর ফারুক