ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস! যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের চক্রান্তের জবাব দেবে ইরান?

প্রকাশিত: ২২:৩২, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২২:৩৩, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট ফাঁস! যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইলের চক্রান্তের জবাব দেবে ইরান?

বিশ্বরাজনীতি নতুন সংকটের দোরগোড়ায়! ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মধ্যে টানটান উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। ফাঁস হয়েছে এক গোপন গোয়েন্দা রিপোর্ট, যেখানে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার ছক কষছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল।


ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের গোপন রিপোর্টে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য-আগামী ছয় মাসের মধ্যেই ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। এ তথ্য হাতে পাওয়ার পরই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেসকিয়ান শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “শত্রুরা আঘাত করলে, আমরা ১০০০ নতুন ঘাঁটি তৈরি করব।”


ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে বসেই ইরানের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছেন। নতুন নিষেধাজ্ঞা, সামরিক হুমকি ও ইসরাইলকে উসকে দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংসের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইসরাইল গোপনে একাধিক সামরিক হামলার পরিকল্পনা করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, সম্ভাব্য হামলার পরিকল্পনা তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে-


সাইবার হামলা: ইরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রগুলোর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক অকার্যকর করা।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: স্ট্রাটেজিক স্থাপনাগুলোতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ।
বিমান হামলা: ইসরাইলি স্টিলথ ফাইটার জেট দিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ।


ইরান বসে থাকার পক্ষপাতী নয়। সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “শত্রুরা আমাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালে, আমরা শুধু প্রতিশোধ নেব না, বরং আরও শক্তিশালী হব।” ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও ঘোষণা দিয়েছে, “১০০টি ঘাঁটি ধ্বংস করলে, আমরা ১০০০ নতুন ঘাঁটি তৈরি করব।”


ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে পশ্চিমারা আগেও সতর্ক ছিল। দেশটির ভূগর্ভস্থ সমরাস্ত্র শহর, অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি এবং সামরিক মহড়া প্রমাণ করেছে যে, তারা কেবল আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত নয়,প্রয়োজনে পাল্টা আক্রমণ করতেও প্রস্তুত।


ট্রাম্প প্রশাসন একদিকে আলোচনার বার্তা দিচ্ছে, অন্যদিকে সামরিক হুমকি বাড়াচ্ছে। প্রেসিডেন্ট পেজেসকিয়ান স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “আমরা আলোচনায় বিশ্বাসী, তবে শর্তসাপেক্ষে অপমান মেনে নেব না। শত্রুরা আগ্রাসন চালালে, তার জবাব কয়েক গুণ শক্তিশালী হয়ে দেব।”


তেহরানের সামরিক ঘাঁটিতে তৎপরতা বাড়ছে। আকাশে ওড়ানো হচ্ছে যুদ্ধবিমান, ভূগর্ভস্থ ঘাঁটিতে প্রস্তুত হচ্ছে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র। ওয়াশিংটনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে বসেছেন। অন্যদিকে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফোনে এসেছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। সবকিছু মিলিয়ে যুদ্ধের শঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। এখন প্রশ্ন, যুদ্ধ কি আসন্ন? নাকি কূটনৈতিক সমঝোতা হবে শেষ পথ?


সূত্র:https://tinyurl.com/34xb7vx2

আফরোজা

×