
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত কেললগ গত বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে ইউক্রেন সংকট নিয়ে তাদের এই সাক্ষাৎ এবং আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তাদের সাক্ষাতের পরে জেলেনস্কি যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, "তিনি কেললগের সঙ্গে যুদ্ধবন্দি, শান্তিচুক্তি এবং যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত এবং ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন।" ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বৃহস্পতিবার বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে শীঘ্রই যুদ্ধের অবসান হবে এবং রাশিয়ার সাথে কথা বলার ছাড়া এই যুদ্ধ থামানো সম্ভব নয়। তবে শীর্ষ কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, "নানা বিষয় নিয়ে এখনও বড় ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে।"
জেলেনস্কিকে নিয়ে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো ইতিবাচক নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা ধরে রাখা একজন ‘স্বৈরশাসক’ জেলেনস্কি। তবে জেলেনস্কি ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে অভিযোগ করেছিলেন।
অপরদিকে, হোয়াইট হাউজের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেন, "জেলেনস্কির মন্তব্যগুলো অগ্রহণযোগ্য এবং তাকে আবার আলোচনায় বসে পূর্ব-প্রস্তাবিত চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবেশাধিকার পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।"
রয়টার্স বুধবার রিপোর্ট করেছে যে, ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চান এবং তার প্রশাসন ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে বিনিয়োগের জন্য জেলেনস্কির সাথে একটি খনিজ চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও মন্তব্য করেছেন, "ইউক্রেনে যুদ্ধ সমাপ্তির বিষয়ে অগ্রগতি নির্ভর করাবে ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে সম্ভাব্য সাক্ষাতের উপর।"
সূত্র: রয়টার্স
রাকিব