
ছবি: সংগৃহীত
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে পাঁচটি রহস্যময় পাহাড়ের চূড়ায় বসে আছে ইসরাইলি সেনারা। এই অঞ্চলে তাদের অবস্থা এখন ঘিরে নানা জল্পনা-কল্পনা তৈরি হয়েছে। ইসরাইলি সেনারা ঘোষণা করেছে যে, তারা এই উঁচু স্থানে অবস্থান করবে এবং এখানে নতুন সেনা অবকাঠামো নির্মাণ করবে। পাঁচটি পাহাড়ের মধ্যে রয়েছে আল আজিয়া, আল আওয়াইদা, আল হামামেস, জাবাল ব্লাদ এবং লাবুনেহ।
নভেম্বরে লেবাননের ইসলামী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরাইলের চুক্তি অনুযায়ী, সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল ২০২৫ সালের মঙ্গলবারের মধ্যে। তবে চুক্তির শেষ মুহূর্তে ইসরাইল ঘোষণা করেছে যে, এই পাঁচটি পাহাড়ে সেনা অবস্থান করবে, যা অঞ্চলটির কৌশলগত গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সীমান্তের এই অঞ্চলে ইসরাইলের সেনা উপস্থিতি লেবাননের বিস্তৃত ভূখণ্ডের উপর নজরদারি চালাতে সহায়ক হবে।
ইসরাইলের দাবি, হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটি থাকার কারণে এই পাঁচটি অঞ্চলে সেনা রাখা প্রয়োজন, যেন সীমান্তের ইসরাইলি জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। তবে তাদের এই পদক্ষেপে সমালোচনা চলছে, বিশেষ করে লেবাননের জনগণের পক্ষ থেকে। হিজবুল্লাহ প্রধান নাইম কাসিম ইতোমধ্যে ইসরাইলকে হুশিয়ার করে বলেছেন, তাদের বাহিনী লেবাননের মাটিতে এক ইঞ্চি দখলদারিত্বও মেনে নেবে না।
এদিকে, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর শক্তি ধ্বংস করার ঘোষণা দিলেও, লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে তার বাহিনী পরাজিত হয়েছে। কিছুতেই সফলতা না পাওয়ার পর, ইসরাইলের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের প্রতিবাদ চলছে।
ইসরাইল যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেনা সরিয়ে না নেয়, তবে লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা আরো কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলে জানানো হয়েছে।
নুসরাত