ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১

কাশ্মীরে প্রচণ্ড ভয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কাশ্মীরে প্রচণ্ড ভয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনী

ছবি: সংগৃহীত।

কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকার যে স্বাভাবিকতার বার্তা দিচ্ছে, বাস্তবে তার উল্টো চূড়ান্ত উত্তেজনা চলছে। লাইন অফ কন্ট্রোলে (LoC) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে, যার ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোস্ট ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের যোদ্ধারা। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশে, কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারাও তাদের কার্যক্রম বাড়িয়েছে, এবং যেকোনো সময় বড় ধরনের কিছু ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত ১০ দিনে জম্মু-কাশ্মীরের পীর পাঞ্জাল অঞ্চলে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা বেড়েছে, এমনটি জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।

ক্রসবর্ডার ফায়ারিং এবং স্নাইপিংয়ের ঘটনা রাজৌড়ি, আখনুর, পুঞ্ছের মতো সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ঘটেছে, যার ফলে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা আহত হয়েছে। পাকিস্তান বর্ডার অ্যাকশন টিম ভারতের প্রতিরক্ষা ভাঙার চেষ্টা করছে, এমন তথ্যও উঠে এসেছে। সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণের একের পর এক ঘটনা ঘটছে।

এছাড়াও, জম্মু-কাশ্মীরের কৃষ্ণঘাটি সেক্টর সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চলছে, তবে ভারতীয় প্রশাসন দাবি করছে যে তা সফলভাবে ঠেকানো হয়েছে। গত সপ্তাহে, সীমান্তে ভারতকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানি সেনারা গুলি চালানোর দাবি করে ভারতীয় বাহিনী পাল্টা জবাব দিয়েছে। কূটনৈতিক সতর্কতা ও তৎপরতার পরও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে না।

ভারতের উর্ধতন কর্মকর্তারা নিয়ন্ত্রণ রেখায় সেনাদের অবস্থান ও প্রস্তুতি যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছেন। উড়ি, রিয়াসি, রাজৌড়ি সেক্টরগুলিতে সেনাদের অবস্থান ও প্রস্তুতি যাচাই করা হচ্ছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতিশীলতা বজায় আছে, তবে সেনাদের সর্বক্ষণ সতর্ক থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

ভারত-পাকিস্তান মধ্যে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধবিরোতি চুক্তি নবায়ন হলেও, পীর পাঞ্জালসহ নিয়ন্ত্রণ রেখায় একের পর এক সংঘাতে তা ভেঙে পড়তে পারে। দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা এখন প্রবল। পাকিস্তান সীমান্তে টহল জোরদার করেছে ভারতীয় বাহিনী, এবং ড্রোন, থার্মাল ইমেজিং ডিভাইস, অ্যাডভান্সড রাডারের মাধ্যমে ব্যাপক নজরদারি চালানো হচ্ছে।

পরিস্থিতি যে এখনও টেনশনে ভরা, তা স্পষ্ট—যেকোনো সময় সীমান্তে সংঘর্ষ আরও তীব্র হতে পারে, এবং দুই পক্ষই প্রস্তুত আছে এমনটাই প্রতীয়মান হচ্ছে।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=0k-Q5m8R9YQ&ab_channel=EkattorTV

নুসরাত

×