ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

পশ্চিমতীরে ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাস্তুচ্যুতি

প্রকাশিত: ২১:০১, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

পশ্চিমতীরে ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাস্তুচ্যুতি

পশ্চিমতীরে ইসরাইলি হামলার মুখে শরণার্থী শিবির ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা

ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ইসরাইলের কয়েক সপ্তাহের অভিযানে ৪০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ঐতিহাসিক ও গবেষকরা বলছেন, ১৯৬৭ সালে আরব–ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৮ বছরে এ ভূখণ্ডে বাড়িঘর ছাড়া হওয়া ফিলিস্তিনির সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ। খবর আলজাজিরার।

পশ্চিমতীরের উত্তরাঞ্চলের তিনটি অংশে সশস্ত্র ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে সম্প্রতি অভিযান শুরু করেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দা বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের বাসাবাড়ি কিংবা মসজিদ, বিভিন্ন মিলনায়তন, বিদ্যালয়, পৌর কার্যালয়ের ভবন, এমনকি খামারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর দাবি, জেনিন ও তুলকারেম এবং তুবাস এলাকার কাছে বেড়ে চলা সশস্ত্র কর্মকাণ্ড দমানোর চেষ্টায় এ অভিযান পরিচালনা করছে তারা। ইসরাইলি বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছেন বা সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করছেন, এমন অস্ত্রধারীরাই এ অভিযানের নিশানায় রয়েছেন। পশ্চিমতীরে চলমান ইসরাইলি অভিযানে বাস্তুচ্যুত হওয়া লোকজনের অনেকে ওইসব মানুষের উত্তরসূরি, যারা ১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন। ইসরাইল প্রতিষ্ঠার ওই সময়কাল ফিলিস্তিনিদের কাছে নাকবা বা বিপর্যয় হিসেবে পরিচিত। নতুন করে ফিলিস্তিনিদের এ বাস্তুচ্যুতি সাময়িক হলেও তা তাদের মনে পুরোনো ইতিহাসের বেদনাদায়ক স্মৃতিই ফিরিয়ে আনছে। তবে ফিলিস্তিনিদের আশঙ্কা, ফিলিস্তিনিদের নিজ বাড়িঘর থেকে স্থায়ীভাবে উৎখাত করা ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) শাসিত এলাকাগুলোয় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার গোপন চেষ্টা ইসরাইলের এই অভিযান। এ অভিযান শুরুর আগে সম্প্রতি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পশ্চিমতীরে সক্রিয় স্থানীয় বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে। নতুন করে ফিলিস্তিনিদের এ বাস্তুচ্যুতি সাময়িক হলেও তা তাদের মনে পুরোনো ইতিহাসের বেদনাদায়ক স্মৃতিই ফিরিয়ে আনছে।

×