ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

একজনের হাতে বিশ্বের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খাতের নিয়ন্ত্রণ থাকা কি নিরাপদ?

প্রকাশিত: ২০:০৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ২০:০৯, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

একজনের হাতে বিশ্বের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খাতের নিয়ন্ত্রণ থাকা কি নিরাপদ?

ছবি: সংগৃহীত

ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অনেক খাতের ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তার মালিকানাধীন বা নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো মহাকাশ অনুসন্ধান, ইন্টারনেট সংযোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, নবায়নযোগ্য শক্তি এবং বৈদ্যুতিক যানবাহনের মতো অত্যাবশ্যক খাতে আধিপত্য বিস্তার করছে।

স্পেসএক্স বাণিজ্যিক মহাকাশযাত্রার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় এবং নাসার কার্যক্রমেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। টেসলা বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক। নিউরালিংক মস্তিষ্ক-কম্পিউটার সংযোগ প্রযুক্তিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, আর দ্য বোরিং কোম্পানি শহুরে পরিবহনের জন্য সুড়ঙ্গ ব্যবস্থা নিয়ে আসছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে xAI ভবিষ্যতের প্রযুক্তি গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

এছাড়া, মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম X (সাবেক টুইটার) বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল যোগাযোগের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে, আর স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করছে।

মাস্কের এই বহুমুখী প্রভাব বিশ্বজুড়ে নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। একজন ব্যক্তির হাতে এত বেশি ক্ষমতা থাকা কতটা নিরাপদ? জাতীয় নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ নির্ধারণে তার একক নিয়ন্ত্রণ কি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে?

অনেকের মতে, তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। তবে সমালোচকরা মনে করেন, এই বিপুল ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ নিয়ন্ত্রণহীন প্রভাব, জবাবদিহির অভাব এবং ভবিষ্যতের জন্য সম্ভাব্য হুমকির সৃষ্টি করতে পারে। মাস্কের সিদ্ধান্ত সরাসরি বৈশ্বিক শিল্প, নীতি এবং ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।

অতএব, প্রশ্ন থেকে যায়— মাস্ক কি ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক, নাকি একক ক্ষমতার আধিপত্য এক সময় মানবসভ্যতার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে?

এম.কে.

×