ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ২১ মিলিয়ন ডলারের তহবিল বরাদ্দ ছিল। তবে সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) এই তহবিল বাতিল করেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্যক্তিগত বাসভবন মার-এ-লাগোতে একটি নির্বাহী আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প বলেন, “আমরা কেন ভারতে ২১ মিলিয়ন ডলার পাঠাচ্ছি? তাদের এমনিতেই প্রচুর অর্থ-কড়ি রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কর আরোপ করা দেশগুলোর একটি ভারত। তাদের উচ্চ শুল্কহারের কারণে আমরা সেখানকার বাজারে প্রবেশ করতে পারি না। আমি ভারত এবং তাদের প্রধানমন্ত্রীকে অনেক সম্মান করি, কিন্তু ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার দেওয়া? এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।”
ডিওজিই গত রোববার তাদের বাতিল করা সরকারি অর্থায়ন পরিচালিত প্রকল্পগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে উল্লেখ ছিল, ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য বরাদ্দকৃত ২১ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্পও বাতিল করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির নেতা অমিত মালব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মন্তব্য করেন, “ভোটার উপস্থিতির জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার? এটি ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাইরের হস্তক্ষেপ স্পষ্ট করে। এতে লাভবান হয়েছে কে? অবশ্যই ক্ষমতাসীন দল নয়!”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তহবিল বরাদ্দের যৌক্তিকতা এবং আন্তর্জাতিক অর্থায়নে নির্বাচন সংক্রান্ত প্রকল্পগুলোর উদ্দেশ্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সায়মা ইসলাম
