
ছবি : সংগৃহীত
মিশরের রাফা সীমান্ত হয়ে সারি সারি ভারী বুলডোজার, রোড রোলারের মতো আরো অনেক যন্ত্রাংশ ঢুকছে গাজায়। যা দিয়ে ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে নতুন করে গড়ে তোলা হবে উপত্যকার নিঃস্ব মানুষের বাড়িঘর।
তবে এখানেও আছে পদে পদে বাধা ইসরাইলের। অনুমতির অপেক্ষায় দুই সপ্তাহ ধরে রাফা সীমান্তে আটকা অনেক গাড়ি। তেল আবিবের এমন গড়িমসি নিয়ে আছে নানা শঙ্কা।
অনুমতির অপেক্ষায় আছে অনেক ট্রাক। প্রায় ৭০ টি লোডার আছে। বাইরে আছে প্রায় ১৫০। যন্ত্রপাতি বহন করা ট্রাক গুলো একসঙ্গে প্রবেশের অনুমতি মিলছে না। পর্যায়ক্রমে অনুমতি দিচ্ছে ইসরাইল। আমরা এখন পার হওয়ার অপেক্ষায় আছি।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি থাকার পরেও রাফা সীমান্তে পুনর্গঠন সামগ্রী প্রবেশ নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই জমছে অভিযোগ। এমন আবহে চাপের মুখে গাজায় পুনর্গঠন সামগ্রী প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
ইসরাইলি বাহিনীর ১৫ মাসের নির্বিচার আগ্রাসনে ধুলোয় মিশে গেছে গাজার অবকাঠামো। যা পুনর্গঠনের প্রয়োজন ৫০০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। এ নিয়ে নতুন এক মূল্যায়ন প্রতিবেদন সামনে এনেছে জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বব্যাংক।
আসার খবর এই যে উপত্যকা গড়তে ২০০০ কোটি ডলারের তহবিল মিলতে পারে আরব দেশগুলোর পক্ষ থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিশরের দুই নিরাপত্তার সূত্র বলছে, এ নিয়ে বৃহস্পতিবার রিয়াদ সফর করবেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি। সেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে আরব নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবের পাল্টা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এই আলোচনা। যেখানে উপস্থিত থাকছেন জর্ডান, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতারের নেতারা।
মো. মহিউদ্দিন