
ছবি : সংগৃহীত
কাশ্মীর পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, এমনটাই বার্তা দিচ্ছে ভারত সরকার। বাস্তবে ঠিক তার উল্টো। চূড়ান্ত উত্তেজনা চলছে লাইন অফ কন্ট্রোলে।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রচন্ড গোলাগুলি হয়েছে ভারতীয় বাহিনীর। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোস্ট গুড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের যোদ্ধারা। এমন প্রেক্ষিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপারেশনাল প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে উপর থেকে।
কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারাও তাদের তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে। যেকোনো সময় হতে পারে বড় ধরনের কিছু। গেল ১০ দিনে জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার পীর পাঞ্জাল অঞ্চলে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা বেড়েছে বলে জানিয়েছে ইন্ডিয়া টুডে।
গণমাধ্যমটি বলছে, ক্রসবর্ডার ফায়ারিং ছাড়াও চলছে স্নাইপিং এর ঘটনাও। রাজৌড়ি, আখনুর, পুঞ্ছের মত অঞ্চলগুলোতে, গোলাগুলিতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা আহত হয়েছে।
পাকিস্তান বর্ডার অ্যাকশন টিম ভারতের প্রতিরক্ষা ভাঙ্গার চেষ্টা করছে বলেও তথ্য উঠে আসছে। সীমান্তে ঘটছে মাইন বিস্ফোরণের একের পর এক ঘটনা। শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর বরাত দিয়ে গণমাধ্যমগুলো বলছে, জম্মু-কাশ্মীরের কৃষ্ণঘাটি সেক্টর সীমান্তে ও অনুপ্রবেশের ব্যাপক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও তা ঠেকিয়ে দেয়ার দাবি করছে ভারত প্রশাসন। আর তা ঠেকাতে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
গেল সপ্তাহেই সীমান্তে ভারতকে লক্ষ্য করে পাকিস্তানি সেনারা গুলি চালানোর দাবি করে। পাল্টা জবাব দেয়ার কথা বলছে ভারতীয় বাহিনীও। কূটনৈতিক সতর্কতা ও তৎপরতার পরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না পরিস্থিতি।
চিরশত্রু পাকিস্তানের এমন তৎপরতা যে ভারতের ঘুম হারাম করে দিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে নয়া দিল্লির পদক্ষেপে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সেনাদের অবস্থান ও প্রস্তুতি যাচাই করতে কাজ শুরু করেছে ভারতীয় বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা। উড়ি, রিয়াসি, রাজৌড়ি সেক্টর গুলোতে সেনাদের অবস্থান ও প্রস্তুতি যাচাইয়ে কাজ চলছে। নিয়ন্ত্রণ রেখায় স্থিতিশীলতা বজায় আছে জানালেও সেনাদের সর্বক্ষণ সতর্ক থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারত-পাকিস্তান তাদের মধ্যকার যুদ্ধবিরতি চুক্তি আবারো নবায়ন করে। সীমান্তে উত্তেজনা কমিয়ে শান্তি রক্ষায় সম্মত হয় দুই সরকার। তবে পীর পাঞ্জাল সহ নিয়ন্ত্রণ রেখায় একের পর এক সংঘাতে, এখন যেকোনো সময় এই চুক্তি ভেঙে পড়তে পারে। যুদ্ধে জড়াতে পারে পারমাণবিক শক্তিধর দুই রাষ্ট্র।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, সীমান্তে এখনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি বলবত আছে, তা আনুষ্ঠানিকভাবেই জানাচ্ছে সরকার। তবে সীমান্তের প্রকৃত পরিস্থিতি ভিন্ন কথা বলছে। যেকোনো পরিস্থিতির জবাব দিতে দুই পক্ষই প্রস্তুত রয়েছে। পাকিস্তান সীমান্তে টহল জোরদার করেছে ভারতীয় বাহিনী। চালানো হচ্ছে ব্যাপক নজরদারী। ড্রোন, থার্মাল, ইমেজিং ডিভাইস আর অ্যাডভান্সড রাডার কাজ করছে সর্বক্ষণ।
মো. মহিউদ্দিন