
ছবি: সংগৃহীত
টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে। দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘাত ও গোলাগুলির ঘটনা উঠে আসছে গণমাধ্যমে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ছে নানা তথ্য, তবে ভারত সরকার এ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ। চীনের সঙ্গে লাদাখ সীমান্তে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে সংঘাত ভারতকে চরম চাপে ফেলে দিয়েছে।
সম্প্রতি লাদাখ সীমান্তে চীনের সেনা উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত একাধিকবার আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করলেও, চীন তার অবস্থান থেকে একচুলও সরেনি। বরং লাদাখ সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করে সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলেছে বেইজিং।
ভারত সরকার এক পর্যায়ে ঘোষণা দিয়েছিল যে, চীন সেনা সরিয়ে নেবে, কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু ঘটেনি। বরং চীন তার মানচিত্রে ভারত নিয়ন্ত্রিত কিছু অংশকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে দেখিয়েছে, যা নিয়ে ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্বেগ।
এদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষ ক্রমশ বেড়ে চলেছে। চলতি মাসের শুরু থেকেই লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে উভয় পক্ষের হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কাশ্মীর ইস্যুতে সরাসরি যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সীমান্তে যুদ্ধজাহাজ ও সামরিক যান চলাচল নিয়েও নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে।
ভারতের বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি পার্লামেন্টে দাবি করেছেন, চীন ইতোমধ্যে ৪,০০০ কিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে। ভারতের সেনাপ্রধানও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, সীমান্ত থেকে এখনই সেনা সরাবে না ভারত। চীনের সঙ্গে এমন উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানও সংঘাতের পথে হাঁটছে, যা ভারতকে আরও সংকটে ফেলে দিয়েছে।
এছাড়া, ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানও বেশ নাজুক হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত টানাপোড়েন, মিয়ানমার সীমান্তে অস্থিরতা ও মণিপুরে রাষ্ট্রপতির শাসন জারির ঘটনায় চাপে রয়েছে মোদি সরকার। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, আঞ্চলিক ইস্যুগুলো ভারতকে নিজেরাই সামলাতে হবে। ফলে, একাধিক ফ্রন্টে চীন ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করতে হতে পারে ভারতকে।
বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের জন্য অত্যন্ত কঠিন। চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলোও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত এখন কীভাবে এই কূটনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ সামাল দেবে, তা নিয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে পুরো বিশ্ব।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/DwRXW6hDOdg?si=MxeE4anK8Lt0fm1u
এম.কে.