
ছবি: সংগৃহীত।
মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র থেকে ফিলিস্তিন নামক রাষ্ট্রটিকে মুছে দেয়ার জোর চেষ্টা চলছে। এই চেষ্টায় প্রকাশ্যে কলকাঠি নাড়ছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। আর এই কাজে তিনি পাশে পাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু চান গাজা ভূখণ্ডকে ফিলিস্তিনি মুক্ত করতে, হামাস নির্মূলের নামে গাজা থেকে সব ফিলিস্তিনিকে বের করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর বাস্তুহারাদের এসব ফিলিস্তিনিদের পাঠানো হবে মিশর, জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে।
প্রকাশ্যে অবশ্য মিশর ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। কায়রো বলছে, গাজাবাসীকে গাজায় রেখেই পুনর্গঠন পরিকল্পনা করতে হবে। মিশরের এই বক্তব্য আবার ওয়াশিংটনের মনে ধরেনি। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এই প্রস্তাবে মিশরকে রাজি করাতে চাপ দিতে শুরু করেছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। পেন্টাগন নাকি ট্রাম্পের প্রস্তাব না মানলে মিশরকে সামরিক সহায়তা সীমিত করে দেয়ার হুমকি দিয়েছে।
মার্কিন সাহায্য নির্ভর মিশরও তাই অনেকটা তটস্থ। কর্তব্য স্থির করতে হিমসিম খাচ্ছেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি।
এই অবস্থার মধ্যেই মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি বিশ্ব ইহুদি কংগ্রেসের প্রধান রোনাল্ড লর্ডারকে বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির একমাত্র গ্যারান্টি হলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। রবিবার কায়রোতে লর্ডারের সাথে সাক্ষাতের সময় সিসি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বাসিন্দাদের তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ না করে পুনর্গঠন শুরু করার আহ্বান জানান।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল, উপকূলীয় অঞ্চল পুনর্নির্মাণ এবং এটিকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরা হিসেবে রূপান্তরিত করার বিতর্কিত পরিকল্পনার বিকল্প খুঁজে বের করার জন্য আরব দেশগুলি যখন হিমসিম খাচ্ছে, তখন মিশরের নেতার এই মন্তব্য এসেছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে মিশর ও জর্ডানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে গাজার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে, যা আরব ও বিশ্ব নেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক নিন্দার মুখে পড়েছে।
সিসি এ বিষয়ে লর্ডারকে বলেন, "একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় স্থায়ী শান্তি অর্জনের একমাত্র গ্যারান্টি।"
মিশরের প্রেসিডেন্টের বিবৃতি অনুসারে, লর্ডার এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে মিশরের বিজ্ঞ প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্পের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার জন্য বৃহস্পতিবার রিয়াদে মিশর, জর্ডান, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের নেতারা মিলিত হবেন এক সপ্তাহ পরে কায়রোতে একই বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য আরব লীগের জরুরি শীর্ষ সম্মেলনের আগে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=3mTYyvWLd8g&ab_channel=DBCNEWS
নুসরাত