ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

মোদি শুধু দিয়েই এলেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে পেলেন কী?

প্রকাশিত: ১২:২৫, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫; আপডেট: ১২:২৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

মোদি শুধু দিয়েই এলেন, ট্রাম্পের কাছ থেকে পেলেন কী?

ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আলোচনার ঝড় উঠেছে। বৈঠকটি থেকে ভারত বড় ধরনের প্রত্যাশা করলেও ফলাফল হতাশাজনক হয়েছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

বৈঠকে প্রধান পাঁচটি ইস্যু ছিল: যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি পণ্যের শুল্ক, দুই দেশের বাণিজ্য চুক্তি, প্রতিরক্ষা চুক্তি ও সহযোগিতা এবং প্রযুক্তি খাতে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব।

বৈঠকের অন্যতম বিতর্কিত বিষয় ছিল অভিবাসন। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত, এবং দিল্লি এটি মেনে নিয়েছে। এটি ভারতের জন্য একপ্রকার অপ্রত্যাশিত চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ভারত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, ট্রাম্প তার নীতি থেকে একচুলও সরেননি।

প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনায় ভারতের জন্য সর্বাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহের চুক্তি করা হয়েছে। তবে, প্রতিটি বিমানের মূল্য প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার হওয়ায় এটি ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে বাড়তি চাপ তৈরি করবে।

এছাড়াও, ইলন মাস্কের ইলেকট্রনিক গাড়ির কারখানা স্থাপনে ভারত আগ্রহ দেখালেও, যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। তাছাড়া, মাস্কের স্টারলিংক প্রকল্পের তরঙ্গ বরাদ্দ নিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মুকেশ আম্বানির সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান আরও জটিল হয়েছে।

বৈঠকে আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় ছিল প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহকারী, এবং এ খাতে তাদের ব্যবসা ২০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। প্রথম স্থানে রয়েছে রাশিয়া। যদিও ভারত যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার, শুল্ক বিষয়ে ট্রাম্পের কঠোর অবস্থান ভারতের জন্য চাপ তৈরি করেছে। এরই মধ্যে ভারত তাদের কেন্দ্রীয় বাজেটে আমদানি শুল্ক ১৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১১ শতাংশ করেছে।

বৈঠক শেষে ধারণা করা হচ্ছে, মোদির নেতৃত্বাধীন ভারত বৈঠক থেকে আশানুরূপ সুবিধা অর্জন করতে পারেনি। ট্রাম্প তার নীতি বাস্তবায়নে দৃঢ় থেকেছেন, যা ভারতের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কৌশলগত সমস্যার কারণ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=qcvCOVcPf-4

সায়মা ইসলাম

×