
ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন পেইসডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠক। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একরকম বিষন্ন মুখে বসে আছে, কথায় তার উচ্ছ্বাস নেই। আনন্দের ভঙ্গি নেই চোখেমুখে। ট্রাম্প হাসিমুখে বলছেন অনুগন শিষ্যের মতো শুনছেন মোদি। তারপর তেমন কোনো নাটকীয়তা নয় অনুমিতভাবেই শেষ হয়েছে বৈঠক। ট্রাম্প পরিষ্কারভাবেই জয়ী হয়েছেন। তার মিশন সাকসেস। তিনি জেমস জেমস বন্ড ভিলেন হান্টের মিশন সম্পূর্ণ। তবে মোদি পুরোটা সময় নিরুত্তাপ।
তিনি হয়তো অশ্রুসজল চোখে আনমনে আকাশপানে তাকান নি। তবে তার মন ছিল উদাসীন। দুঃস্বপ্নের রাত শেষ হলেই বাঁচেন এমন দশা। যদিও ভারতীয় গণমাধ্যমে ঠাসা সাফল্যের খবরে। জ্বালানি চুক্তি কিংবা এফ ৩৫ যুদ্ধবিমানের গুণকীর্তনকরছে তারা। বোঝাচ্ছে শত্রুর নিশানা ভেদ করতে মার্কিন এই বিমান দুর্দান্ত কিছু। কিন্তু কিনে সামরিক হ্যাঙ্গারে ফেলে রাখা ছাড়া মোদির দেশ আদৌ কোন কাজে লাগাতে পারবে কি? বড়জোড় দু একটা এয়ার শোতেই হয়তো শোভা পাবে এই যুদ্ধবিমান। সেই সাথে রাজনীতির মাঠ গরমে কিছু গালভরা গল্প। অথচ লাভের চেয়ে ক্ষতিটাই বেশি হলো উল্টো। মোদির হাতে এফ৩৫ আসছে শোনেই আরো ক্ষেপে উঠেছে ভারতের চির বৈরি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত চীন।
তারা বলেছে আপনারা কেনাবেচা দর কষাকষি যা ইচ্ছা করেন সমস্যা নাই। তবে চীনকে এর ভেতরে টানবেন না। আর টানলে তার ফল ভালো হবেনা। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয় জিয়াকুন ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে বলেছেন তাদের বিক্রয় আলোচনায় দর কষাকষির কৌশল হিসেবে চীনের সাথে সংঘাত ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। তিনি বলেন, জাতিগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সহযোগিতা পরিচালনার ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে চীনকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ভিডিও লিংক: https://www.youtube.com/watch?v=gaqRdo-kmPY
শিহাব