ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

হামাসকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে আরব দেশগুলো

গাজার শাসন পরিচালনায় নতুন কাঠামো

প্রকাশিত: ২১:০৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গাজার শাসন পরিচালনায় নতুন কাঠামো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা খালি করার পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিকল্পনায় উঠে এসেছে গাজার শাসন পরিচালনার নতুন কাঠামো। আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে উপত্যকাটির পুনর্গঠনে হামাসকে শাসন ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে আরব দেশগুলো। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও উত্তেজনা থামছে না। স্থানীয় সময় শনিবার তিন ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর বিনিময়ে ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। খবর আলজাজিরা ও রয়টার্সের। হামাস জানিয়েছে, শীঘ্রই গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার প্রস্তুতি শুরু হচ্ছে। মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো আগামী সপ্তাহের শুরুতে দোহায় এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করবে বলেও জানায় সংগঠনটি।
শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি বাতিলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, ইসরাইলের জায়গায় হলে শনিবার তিনি গাজার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেন। গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা খালি করার পরিকল্পনার উপযুক্ত জবাব দিতে এ মাসেই রিয়াদে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করতে যাচ্ছে সৌদি আরব, মিসর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো আরব দেশগুলো। পাঁচটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, এ বৈঠকে ফিলিস্তিন নিয়ে খসড়া নানা প্রস্তাব আলোচনা হতে পারে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে উপসাগরীয় দেশগুলোর নেতৃত্বে ফিলিস্তিন পুনর্গঠন তহবিল গঠন।
এছাড়া হামাসকে পাশ কাটিয়ে একটু চুক্তি সম্পাদন করা। মিসরের তৈরি করা খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একটি জাতীয় ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন করে গাজার শাসন করা হবে। যেখানে হামাসের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না। ফিলিস্তিনিদের বিদেশে পুনর্বাসনের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে গাজায় পুনর্গঠন কাজ চালানো হবে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের দিকে এগোনো হবে। এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেন, ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদের পরিকল্পনা অমানবিক। মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ট্রাম্পের হিসাবে ভুল আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদিকে মুক্তি পাওয়া তিন ইসরাইলি জিম্মি হলেন- আয়ার হর্ন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের দ্বৈত নাগরিক সাগুই ডেকেল চেন এবং রাশিয়া ও ইসরাইলের দ্বৈত নাগরিক আলেকসান্দ্রে সাশা ত্রোফানভ। তাদের সবাইকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপকূলবর্তী কিবুৎজ নিরুওজ এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল।
হামাস আগে জানিয়েছিল, ইসরাইল যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। এর ফলে তারা আর বন্দি মুক্তি দেবে না। ইসরাইলও পাল্টা হুমকি দিয়ে জানায়, তারা আবার সামরিক অভিযান শুরু করবে। ইতিমধ্যে রিজার্ভ সেনাদের ডেকে প্রস্তুত রেখেছে তারা। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্যের পর,এই যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।

×