![ভারতকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের! ভারতকে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের!](https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2024April/3-28-2502131957.jpg)
পাকিস্তান সরকার চীনের কাছ থেকে নতুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে,এই খবর গত কয়েকদিন ধরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। তবে নতুন তথ্য অনুযায়ী, একটি বা দুটি নয়, বরং মোট ৪০টি জে-৩৫এ ফাইটার জেট কেনার পরিকল্পনা রয়েছে ইসলামাবাদের। সম্প্রতি "ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া"র প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই চুক্তির বিস্তারিত।
পাকিস্তানের অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমান্ডার জিয়াউল হকের মতে, এই চুক্তির ফলে সামরিক প্রযুক্তির দিক থেকে পাকিস্তান ভারতকে অন্তত ১২ থেকে ১৪ বছর পিছনে ফেলবে। এয়ার কমোডর শামসীরও দাবি, এই সময়সীমার মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির পরিকল্পনা নেই ভারতের, ফলে কৌশলগতভাবে বড় সুবিধা পাবে ইসলামাবাদ।
সম্প্রতি ভারত অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে আবারও সামরিক হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মনির। তিনি বলেছেন, "কাশ্মীর নিয়ে আমরা তিনটি যুদ্ধ করেছি, প্রয়োজনে আরো দশটি যুদ্ধ করব।" তার মতে, নয়া দিল্লির সামরিক শক্তিকে ভয় পায় না ইসলামাবাদ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, কাশ্মীর পুনর্দখলের লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করছে শেহবাজ শরীফের প্রশাসন। নৌবাহিনীতেও যুক্ত করা হচ্ছে নতুন সাবমেরিন ও যুদ্ধজাহাজ, যা চলতি দশকের শেষে পাকিস্তানের সাবমেরিন সংখ্যা ১১-তে উন্নীত করবে।
অন্যদিকে, ভারতের নৌবাহিনীর সাবমেরিন সংখ্যা ১৬ হলেও, এর মধ্যে ১০টি ৩০ বছরেরও বেশি পুরনো। তাই বিমানবাহিনীতে পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান যুক্ত হলে পাকিস্তানের জন্য সামরিক কৌশলগত সুবিধা তৈরি হতে পারে। এরই মধ্যে পাকিস্তানের এয়ারফোর্সের একদল পাইলটকে জে-৩৫এ যুদ্ধবিমান পরিচালনার প্রশিক্ষণের জন্য চীনে পাঠানো হয়েছে, যা প্রমাণ করে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান কেনার তীব্র আগ্রহ।
জে-২০ মাইটি ড্রাগনের পর চীনের দ্বিতীয় স্টেলথ ফাইটার জেট হলো জে-৩৫এ মাইটি ড্রাগন। মূলত চীনের বিমান বাহিনীর জন্য তৈরি হওয়ায়, এটি অন্য দেশের কাছে বিক্রি নিষিদ্ধ। তবে বিশেষভাবে রপ্তানির জন্য তৈরি করা হয়েছে জে-৩৫এ। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীতে ইতোমধ্যেই চীনের জে-১০সি ও জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান রয়েছে।
জে-৩৫এ সিঙ্গেল সিট ও টুইন ইঞ্জিন বিশিষ্ট যুদ্ধবিমান, যা আকাশে আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম। লো অবজারভেবিলিটি প্রযুক্তির কারণে এটি শত্রুর রাডারে ধরা পড়া প্রায় অসম্ভব। এই বিমানকে তুলনা করা হয় মার্কিন এফ-৩৫ এর সঙ্গে, যা এটিকে আরও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পাকিস্তানের এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় ভারতও পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে মার্কিন এফ-১৬এস ও ফরাসি মিরাজ ফাইভ। তবে এই প্রতিযোগিতায় সামরিক ভারসাম্য কোন দিকে যাবে, তা সময়ই বলে দেবে।
পাকিস্তানের নতুন যুদ্ধবিমান চুক্তি দক্ষিণ এশিয়ার সামরিক ভারসাম্যে পরিবর্তন আনতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সামরিক দিক আরও উত্তপ্ত হতে পারে, যেখানে আধুনিক যুদ্ধবিমান ভূমিকা রাখবে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত পরিকল্পনায়।
সূত্র:https://tinyurl.com/bdhzk8vn
আফরোজা